— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ভোটগণনা শুরু হতেই শেয়ার বাজারে ধস নামল। বেলা যত গড়াল, ততই পতন হল সূচকের। মঙ্গলবার সকালে ১০টা নাগাদ ২০০০ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সের। ১১টা ১০ মিনিটে নাগাদ ৪,০০০ পয়েন্ট পতন হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোটের যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯১টি লোকসভা আসনে এগিয়ে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জায়গায় এখনও পৌঁছয়নি। পিটিআই সূত্র অনুযায়ী, বারাণসীতে এক সময়ে পিছিয়ে গিয়েছিলেন মোদী। তারই প্রভাব পড়েছে সেনসেক্সে। পরে অবশ্য মোদী এগিয়ে যান।
সকাল সাড়ে ৯টায় নিফটি সূচকের পতন হয়েছে ৩.০৩ শতাংশ। তার পরে নিফটি সূচক দাঁড়িয়েছে ২২,৫৫৭। এস অ্যান্ড পি বিএসই সূচকের পতন হয়েছে ৩ শতাংশ। সকাল সাড়ে ৯টায় দাঁড়িয়েছে ৭৪,১০৭-এ। মঙ্গলবার ট্রেডিং শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন প্রায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা। সকাল ১১টা ১০ মিনিটে নিফটির পতন হয়েছে ৫.০৭ শতাংশ।
সোমবার শেয়ার বাজার উঠেছিল নজিরবিহীন ভাবে। ৭৬ হাজারের ঘরে শেষ করেছিল দৌড়। নিফটিও নজির গড়ে ২৩ হাজারে পা রেখেছিল। উঠেছে ৭৩৩। দুই সূচকই তিন বছরের মধ্যে এক দিনে সব থেকে বেশি উত্থান দেখেছে। লগ্নিকারীরা ঘরে তুলেছেন ১৪ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। লগ্নিকারী এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, বুথফেরত সমীক্ষার প্রভাবেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল সেনসেক্স এবং নিফটি। বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ দাবি করেছিলেন, ওই উত্থানের ফলে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে শেয়ার বাজার। সমীক্ষা না মিললে পতন হবে। সেই আশঙ্কাই কি সত্যি হতে চলেছে?