মঙ্গলবার, ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলঘোষণা। দেশে লোকসভা আসনের সংখ্যা ৫৪৩। কারা জয়ী হতে চলেছেন, কারা গত বারের জেতা আসন হারাতে চলেছেন, কারা প্রথম বার সংসদে পা রাখতে চলেছেন, স্পষ্ট হয়ে যাবে আর কয়েক ঘণ্টায়। তবে তাঁদের মধ্যে ৪৯ জন প্রার্থীর উপর নজর থাকবে আনন্দবাজার অনলাইনের। তালিকায় কে কে?
তালিকায় প্রথম নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪, ২০১৯ সালের পর ২০২৪ সালেও উত্তরপ্রদেশের বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে তিনি বিজেপির প্রার্থী। জয়ের হ্যাটট্রিক করতে পারবেন?
মোদীর ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত তিনি। মন্ত্রিসভাতেও দ্বিতীয়। দেশের বিদায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লড়ছেন গুজরাতের গান্ধীনগর কেন্দ্রে। গত বার গান্ধীনগর থেকে ৫ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন।
রাহুল গান্ধী এ বার লড়েছেন দু’টি আসনে। কেরলের ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী আসনে। এই রায়বরেলী আসনে সাংসদ ছিলেন সনিয়া গান্ধী।
বহরমপুরে এ বার প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। নজর থাকবে তাঁর উপরও। ১৯৯৯ সাল থেকে ওই আসনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতছেন অধীর।
ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও ওই আসন থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন অভিষেক। এ বার কি হ্যাটট্রিক?
২০১৯ সালে নদিয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে জিতেছিলেন মহুয়া মৈত্র। গত ডিসেম্বরে বহিষ্কৃত হন তিনি। ২০২৪ সালের ভোটে ওই আসনেই ফের প্রার্থী মহুয়া।
মুর্শিদাবাদে সিপিএমের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। ২০১৯ সালে রায়গঞ্জে প্রার্থী হয়ে হেরেছিলেন তিনি। এ বার?
বালুরঘাটে বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতিও বটে। ২০১৯ সালেও ওই আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি।
বর্ধমান দুর্গাপুরে বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে গিয়েছিলেন।
লখনউ থেকে বিজেপির প্রার্থী রাজনাথ সিংহ। দেশের বিদায়ী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
স্মৃতি ইরানি প্রার্থী উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে। ওই কেন্দ্রেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীকে। এ বারও তিনিই প্রার্থী সেখানে।
কনৌজ থেকে প্রার্থী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি সমাজবাদী পার্টির প্রধানও।
নাগপুর লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী বিদায়ী সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করী।
মানেকা গান্ধী প্রার্থী উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে। বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েছেন তিনি। যদিও তাঁর পুত্র বরুণ গান্ধীকে এ বার টিকিট দেয়নি বিজেপি।
ঘাটালে তৃণমূলের প্রার্থী দীপক অধিকারী, যিনি পরিচিত দেব নামে। নায়ক দেব ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও ওই আসন থেকে জিতেছেন।
বসিরহাটে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র। সন্দেশখালিতে প্রতিবাদের অন্যতম ‘মুখ’ ছিলেন তিনি।
ব্যারাকপুরে বিজেপির প্রার্থী অর্জুন সিংহ। তিনি ভোটের আগে টিকিটের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
হুগলিতে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও ওই আসন থেকেই জিতেছিলেন তিনি।
কোচবিহারে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এই প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়ছেন তিনি। নজর থাকবে তাঁর দিকেও।
কলকাতা উত্তরে তৃণমূলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ওই আসনেই প্রার্থী ছিলেন তিনি।
কলকাতা উত্তর আসনে বিজেপির প্রার্থী তাপস রায়। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বনগাঁয় বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বিদায়ী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
আসানসোল লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা। বিপক্ষকে এ বার কি ‘খামোশ’ করাতে পারবেন নায়ক?
শতাব্দী রায় প্রার্থী হয়েছেন বীরভূমে। লড়াই করেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ওই আসনে প্রার্থী।
মেদিনীপুরে তৃণমূলের প্রার্থী জুন মালিয়া। তিনি রাজ্যের বিধায়কও।
মেদিনীপুরে বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনিও রাজ্যের বিধায়ক।
সৌগত রায় দমদমে তৃণমূলের প্রার্থী। চার বার সাংসদ হয়েছেন তিনি। এ বার জয়ী হলে পঞ্চম বার যাবেন সংসদে।
বারাসতে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বিদায়ী সাংসদও। এ বার কি জয় পাবেন?
কলকাতা দক্ষিণে তৃণমূলের প্রার্থী মালা রায়। তিনি ওই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদও।
শ্রীরামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার জিতলে টানা চার বার ওই কেন্দ্রের সাংসদ হবেন তিনি।
দমদমে সিপিএমের প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। যাদবপুর লোকসভা আসনের প্রাক্তন সাংসদ তিনি।
হুগলিতে তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম ভোটের ময়দানে ‘দিদি নম্বর ১’-শোয়ের সঞ্চালিকা তথা নায়িকা।
মালদহ দক্ষিণে কংগ্রেসের প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। নজর তাঁর উপরেও।
ঘাটাল লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। অতীতে তৃণমূলে ছিলেন তিনি। পরে যোগ দেন বিজেপিতে। এখন তিনি সে দলের বিধায়ক।
হাওড়া লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিদায়ী সাংসদও।
বহরমপুর লোকসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার।
আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী এসএস অহলুওয়ালিয়া। গত বার তিনি বর্ধমান- দুর্গাপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন।
শ্রীরামপুর লোকসভা আসনে সিপিএমের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। জেএনইউয়ের প্রাক্তনী তিনি।
বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজ়াদ। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলেছেন।
যাদবপুর লোকসভা আসনে সিপিএমের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর আসনে লড়েছিলেন।
তমলুকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
তমলুকে সিপিএমের প্রার্থী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় তিনি আইনজীবী।
বিদিশায় বিজেপির প্রার্থী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তিনি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজগড় লোকসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
কাশ্মীরের অনন্তনাগ-রাজৌরিতে পিডিপির প্রার্থী মেহবুবা মুফতি।
কাশ্মীরের বারামুল্লায় জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী ওমর আবদুল্লা।
কর্নাটকের মাণ্ড্য লোকসভা আসনে জেডিএসের প্রার্থী এইচডি কুমারস্বামী।
কর্নাটকের হাসন লোকসভা আসনে জেডিএসের প্রার্থী প্রজ্বল রেভান্না। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।