—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
একই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা এলাকা। একই সঙ্গে ভোট হয়েছে দুই ক্ষেত্রেই। তা সত্ত্বেও কী ভাবে লোকসভায় ভোট বেশি পড়ল? বিধানসভা কেন্দ্রে কী ভাবে কমে গেল ভোটের হার? বাংলার দুই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে বাংলায় দু’টি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হয়েছিল— বরাহনগর এবং ভগবানগোলা। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দুই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে ভোটের হার লোকসভায় ভোটের হারের চেয়ে কম। একই বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটের হারে কী ভাবে এই তারতম্য হল, তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে অনেকে বলছেন, বুথে গিয়ে কোনও কোনও ভোটার লোকসভার ইভিএমে বোতাম টিপে ভোট দিলেও, বিধানসভা উপনির্বাচনের ইভিএমের বোতামে চাপ দেননি। তার ফলে দু’টি ভোটের হারে পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা কম।
পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা আসন রয়েছে। তাদের প্রতিটির অন্তর্গত সাতটি করে বিধানসভা কেন্দ্র। বরাহনগর বিধানসভা রয়েছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এবং ভগবানগোলা বিধানসভা রয়েছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। এই দু’টি বিধানসভাতেই এ বার উপনির্বাচন হয়েছে। যে লোকসভা কেন্দ্রে যে দিন ভোট, সে দিনই তার সঙ্গে পাশাপাশি ইভিএমে বিধানসভার ভোটও দিয়েছেন মানুষ। ফলে লোকসভায় ভোট দিয়ে এবং বিধানসভায় ভোট না দিয়ে বুথ থেকে বেরিয়ে আসা কার্যত অসম্ভব। তৃতীয় দফায় গত ৭ মে মুর্শিদাবাদ লোকসভায় ভগবানগোলার ভোটগ্রহণ হয়েছে। দমদমে বরাহনগরের ভোটগ্রহণ হয়েছে শেষ দফায়, অর্থাৎ ১ জুন।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শেষ দফায় বরাহনগরের উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৩.১৮ শতাংশ। আবার, দমদম লোকসভার ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় ভোট পড়েছে ৭৩.২৩ শতাংশ। ভোটের তারতম্য ০.০৫ শতাংশ। একই ভাবে, তৃতীয় দফায় ভগবানগোলার উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮০.০৭ শতাংশ। আবার, মুর্শিদাবাদ লোকসভার ভোটের পরিসংখ্যান বলছে, ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় ভোট পড়েছে ৮০.২৬ শতাংশ। ভোটের তারতম্য ০.১৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, লোকসভা কেন্দ্রের নিরিখে ০.০৫ শতাংশ কিংবা ০.১৯ শতাংশ ভোট আদৌ কম নয়। যে পদ্ধতিতে লোকসভা এবং বিধানসভার উপনির্বাচনে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাতে উভয় ক্ষেত্রেই ভোটের হার সমান হওয়ার কথা। কী ভাবে এই তারতম্য হল, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।