দমদম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে বাঁকড়ার জনসভায় ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। — নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটে বামপ্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে নীতি বদলানোর ডাক দিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। মানিক রবিবার বারাসতের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ও দমদমের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে শহিদ বন্ধু নগরে ও তার পরে উত্তর দমদমের আরও একটি সভা থেকে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দাগেন। পাশাপাশি, এ দিন রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজপুর-সোনারপুরের পুরপ্রধান পল্লব দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর আশীর্বাদ চেয়েছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।
মানিক এ দিন জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম, বেকারত্ব, দুর্নীতির প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। সেই সঙ্গে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ নানা ক্ষেত্রের যা হাল, তা নিয়েও সরব হয়েছেন। মানিকের আশ্বাস, বিজেপিকে হারিয়ে কেন্দ্রে বিকল্প সরকার তৈরি হলে, সেই সরকার বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের যে প্রচলন হয়েছে, তার জায়গায় স্থায়ী চাকরির দিকে নজর দেবে। জনতার উদ্দেশে তাঁর আরও আহ্বান, “সুজন চক্রবর্তীদের নির্বাচিত করে আপনারা যদি লোকসভায় পাঠান, তা হলে নীতি বদলানোর দাবিতে ওঁরা সেখানে সরব হবেন।”
এ দিকে, এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রধান পল্লব দাসের কোদালিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাঁর আশীর্বাদ চাইলেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন। সিপিএম প্রার্থী বলেছেন, “যাদবপুরের প্রতিটি মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ওঁর কাছে গিয়ে আশীর্বাদ চাইলাম। রাজনৈতিক অবস্থান আলাদা হতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক সৌজন্য বজায় থাকবে।” পল্লবও বলেছেন, “আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা। কিন্তু রাজনীতিতে এমন সৌজন্য থাকে।” প্রচারের পথে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের বাড়ি পড়লে সেখানেও যাবেন বলে জানিয়েছেন সৃজন। সায়নী এ দিন বারুইপুরের মল্লিকপুর ও হরিহরপুরে প্রচার করেছেন। সৃজনের মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “বাম প্রার্থী বাড়িতে আসলে আমার বাড়ির দরজা খোলা। তবে ভোটবাক্সের দরজা খোলা থাকবে না।”
সুভাষগ্রামের কোদালিয়ায় সুভাষচন্দ্র বসুর পৈতৃক ভিটেতে গিয়ে তাঁর এবং পরে ওই এলাকাতেই সলিল চৌধুরীর মূর্তিতে মাল্যদান করে এ দিন আরএসএস, বিজেপির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সৃজন। তাঁর বক্তব্য, “বাংলার ‘আইকনরা’ আরএসএস-এর হাতে বিপন্ন। আমরা চাই, বাংলার ঐতিহ্য আরও এক বার সামনে আসুক।”