—প্রতীকী ছবি।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) রাজ্যের প্রান্ত প্রচারক জলধর মাহাতোর নামে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে লেখা ২২ এপ্রিল তারিখের ‘চিঠি’ ঘিরে বিতর্ক দেখা দিল শুক্রবার, দ্বিতীয় দফার ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে। তাতে বিজেপি কর্মীদের রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীকে কোনও ভাবেই ‘বিব্রত’ না করার নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। এই কেন্দ্রে বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রম্জ (ভিক্টর)। বৃহস্পতিবার ওই চিঠি (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে ছড়াতেই শোরগোল শুরু। সঙ্ঘ-পরিবার তথা বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেসের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কংগ্রেস বিঁধেছে তৃণমূল, বিজেপিকে। যদিও চিঠিটি ‘ভুয়ো’ বলে দাবি জলধর এবং বিজেপির।
ওই কেন্দ্রে সমীক্ষায় তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে দাবি করে চিঠিতে ইঙ্গিত, কংগ্রেসের সঙ্গে আঁতাঁত বিজেপির জেতার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, ভিক্টরের ঝুলিতে সংখ্যালঘু ভোট যত বেশি পড়বে, তৃণমূলের ভোট কাটা গিয়ে, বিজেপির জেতার রাস্তা সহজ হবে।
চিঠিটি ‘ভুয়ো’ বলে দাবি করেছেন জলধর। বলেন, ‘‘সমাজজীবনে বিভ্রান্তি তৈরি করে যারা স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়, এটা তাদের ষড়যন্ত্র।’’ চিঠিটি ‘ভুয়ো’ বলে দাবি আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায় এবং রায়গঞ্জের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালেরও। বাসুদেবের বক্তব্য, ‘‘জলধরবাবুর নামের বানান ও তাঁর পদের বিবরণ আংশিক লেখা। আমার নাম থাকলেও পদ উল্লিখিত নয়। তা ছাড়া, আরএসএসের চিঠি কলকাতা অফিস থেকে পাঠানো হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ও কংগ্রেস ভুয়ো চিঠি ছড়িয়ে জেতার স্বপ্ন দেখছে।’’
এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া মেলেনি রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর। তাঁর ফোন বন্ধ। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দাবি, ‘‘তৃণমূলকে হারাতে আরএসএস, বিজেপি, কংগ্রেস, বামেরা এক হয়েছে।’’
ভিক্টরকে ফোনে পাওয়া যায়নি। জবাব মেলেনি মেসেজের। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘ভিক্টর জিততে চলেছেন বুঝে ভুয়ো চিঠি ছেড়ে তৃণমূল, বিজেপি ষড়যন্ত্র করেছে।’’