প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
অনন্ত হেগড়ের সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত মন্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবস্থান স্পষ্ট না করলে তার মানে দাঁড়ায়, এ ক্ষেত্রে তাঁর সমর্থন রয়েছে— এই মর্মে আজ বিজেপিকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। রাতে এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীও এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, সংবিধান বদলানোর অর্থ দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া।
আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ও মুকুল ওয়াসনিকের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে হেগড়ে প্রসঙ্গে খড়্গের দাবি, কংগ্রেসের কেউ এমনটা বললে তাঁকে বহিষ্কার করা হত। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নীরব। বিজেপি বা আরএসএস নেতাদের মুখে সংবিধান সংশোধনের কথা এই প্রথম নয়। প্রধানমন্ত্রী কেন তাঁদের এ সব বলতে দিচ্ছেন? সাহস থাকলে তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে দেখান।” বিজেপি সংবিধানের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের বিরুদ্ধে বলে মন্তব্য করেছেন খড়্গে। তাঁর কথায়, “দুঃখের ব্যাপারটা হল, বিজেপি এখনও দেশের সংবিধান পুরোপুরি মেনে নিতে পারেনি।”
মোদী নিজে সংবিধানে হস্তক্ষেপ না করার আশ্বাস দিয়ে নেতাদের দিয়ে এ সব বলাচ্ছেন বলে অভিযোগ খড়্গের।
শনিবার কর্নাটকে একটি সমাবেশে হেগড়ে বলেছিলেন সংবিধান সংশোধন করার কথা। সংবিধানে কংগ্রেসের করা ‘বিকৃতি’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয় সংযোজনগুলিকে’ ঠিক করতে সংসদের উভয় কক্ষে বিজেপির দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন ছ’বারের সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হেগড়ে। খড়্গের বক্তব্য, সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্য নিয়েই বিজেপি এনডিএ-র ঝুলিতে লোকসভার চারশো আসন চাইছে। গরিব ও নিপীড়িতদের সামাজিক ন্যায়বিচারের অধিকার অস্বীকার করা হলে তাঁরা মুখ বুঁজে থাকবেন না, দাবি খড়্গের। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সংরক্ষণের বিরোধিতার প্রসঙ্গও তুলেছেন খড়্গে। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির এমন মানসিকতা সামনে আসতে থাকলে আসন্ন লোকসভা ভোটে মানুষ তা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন। সংবাদ সংস্থা