(বাঁ দিকে) রাহুল গান্ধী। স্মৃতি ইরানি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের সনির্বন্ধ অনুরোধ সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি নন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে তিনি সে কথা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। কিন্তু রাহুল গান্ধী ওয়েনাড়ের পাশাপাশি অমেঠী বা রায়বরেলী থেকে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে কংগ্রেস।
অমেঠী এবং রায়বরেলী— উত্তরপ্রদেশের এই দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই আগামী ২০ মে ভোটগ্রহণ। ৩ মে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এআইসিসি মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বুধবার জানিয়েছিলেন, দিন দেড়েকের মধ্যে ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা হবে। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতিমধ্যেই অমেঠী থেকে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ স্মৃতি ইরানি মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এখনও রায়বরেলীতে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণার পরেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।
অমেঠী, রায়বরেলীর প্রার্থী কারা হবেন, তা নিয়ে সোমবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার আলোচনা হয়েছিল। প্রিয়ঙ্কা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি গোটা দেশে প্রচারে মন দিতে চান। শুধু রায়বরেলী বা অমেঠীতে লড়তে গেলে তিনি একটি আসনে আটকে যাবেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, উত্তরপ্রদেশে দুই আসন থেকে গান্ধী পরিবারের কেউ না লড়লে কংগ্রেস নির্বাচনী ময়দানের জমি ছেড়ে পালাচ্ছে বলে বার্তা যাবে। তাই রাহুলকে রায়বরেলীতে প্রার্থী করা হতে পারে বলে ওই দলের একটি সূত্রের খবর।