ইমরান খান। —ফাইল ছবি।
জেলে বন্দি করে রেখে তাঁর বিচারকে ‘বেআইনি’ বলে চিহ্নিত করেছিল আগেই। এ বার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’ সংক্রান্ত অভিযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতার কাছে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের বুধবারের এই পর্যবেক্ষণ ‘বড় স্বস্তি’ বলেই মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা। গত অক্টোবরে ইমরান এবং তাঁর দলের নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ মামলার শুনানি শুরু হয়েছে আদালতে। এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে পাক আইন অনুযায়ী ফাঁসির সাজা হতে পারে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়কের।
‘রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস’ সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণেই চলতি বছর পাক পার্লমেন্টের নিম্নকক্ষ, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান। অভিযোগ, ২০২২ সালের গোড়ায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি ইসলামাবাদে পাঠিয়েছিলেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তাঁর তিন সহযোগী সেই গোপন নথি ফাঁস করেছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি তারবার্তা (সাইফার) আদালতে ‘প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করা হয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে।
যদিও ইমরানের অভিযোগ, তিনি পাক সেনার একাংশ এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শিবিরের চক্রান্তের শিকার। গত অগস্টে তোশাখানা মামলায় ইমরানের তিন বছরের জেলের সাজায় স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। তাঁর জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। কিন্তু ওএসএ-তে অভিযুক্ত হওয়ায় অটক জেল থেকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী মুক্তি পাননি। বুধবার ইসলামাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক এবং বিচারপতি মিয়ানগুল হাসান অওরঙ্গজেবের বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পাওয়া তারবার্তা ইমরান নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন, এমন একটিও প্রমাণ তদন্তকারী সংস্থা পেশ করতে পারেনি।