মুনীশ তামাং। —ফাইল চিত্র।
অবশেষে। মঙ্গলবার দুপুরে দার্জিলিঙে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল কংগ্রেস। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডের বিশেষ বন্ধু মুনীশ তামাংকে প্রার্থী করল রাহুল গান্ধীর দল। দিন পাঁচেক আগেই তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। মুনীশের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরোধিতা করেছেন কয়েক মাস আগে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাহাড়ি নেতা বিনয় তামাং।
বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের সদস্যদের নিয়ে পাহাড়ে এক বার গোর্খাল্যান্ড টাস্ক ফোর্স (জিটিএফ) গড়া হয়েছিল। তার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মুনীশ। গত ২৮ মার্চ দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিরোধী জোটে যোগ দেন অজয়। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন পাহাড়ের নেতা মুনীশ তামাংকে। মুনীশ কংগ্রেসে যোগ দেন সে দিনই। অজয়-ঘনিষ্ঠেরা সে দিনই দাবি করেছিলেন, দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে মুনীশকে দার্জিলিঙের প্রার্থী করা হবে। সেই মর্মেই মুনীশ যোগ দিয়েছেন। দেখা গেল তা-ই হল। এর আগে বিনয় তামাংকে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা ছিল। কিন্তু অজয়ের দৌত্য এবং মুনীশের কংগ্রেসে যোগদান সেই জল্পনাকে অনেকটাই স্তিমিত করে দিয়েছিল।
দার্জিলিঙে ভোটগ্রহণ দ্বিতীয় দফায়, ২৪ এপ্রিল। মনোনয়ের শেষ পর্ব আসন্ন হলেও কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা হচ্ছিল না। যা নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন ছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে ভোটের ২৪ দিন আগে প্রার্থী ঘোষণা করল কংগ্রেস। এর আগে গত ১০ মার্চ গোপাল লামাকে দার্জিলিঙের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। অনেক টানাপড়েনের পর বিজেপি বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তাকেই প্রার্থী করেছে।
কয়েক মাস আগে তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসের দিকে ঘেঁষেছিলেন বিনয় তামাং। কিন্তু মুনীশের কংগ্রেসে যোগদান প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়ে বিনয় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই যোগদানে তাঁর সম্মতি নেই। মুনীশকে প্রার্থী করা হলে তিনি মানবেন না বলেও জানিয়েছিলেন বিনয়। প্রার্থী ঘোষণার পরও একই সুরে বিনয় বললেন, ‘‘শুধুমাত্র টিকিট পাওয়ার জন্য মুনীশ তামাং ক’দিন আগেই কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। তিনি কংগ্রেসে যোগদান করে কাজ করুন, তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু টিকিট পাওয়ার জন্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েই প্রার্থী হলেন, এটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এই নির্বাচনে আমি আর কংগ্রেসের হয়ে সক্রিয় হব না। আমি মুনীশের প্রার্থী হওয়ার প্রকাশ্যেই তীব্র বিরোধিতা করছি।”