—প্রতীকী চিত্র।
রাতের অন্ধকারে প্রায় কুড়িটি দল তৈরি করে ভোটারদের টাকা বিলির অভিযোগে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর লোকসভার সাগরদিঘি এলাকা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতা এবং কর্মীরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করলেও টাকা বিলির প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি তারা। অন্য দিকে, টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফায় জঙ্গিপুর আসনে নির্বাচন রয়েছে। আগামী ৭ মে ভোটের আগে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করতে রাতের অন্ধকারে টাকা বিলি করছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ করেছে পদ্ম শিবির। এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘ভোটারদের প্রভাবিত করতে শনিবার রাতে তৃণমূল নেতা আনারুল হক ওরফে বিপ্লব সাগরদিঘির কাবিলপুরে টাকা বিলি করতে গিয়েছিলেন।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন, এই অভিযোগে তৃণমূল নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে সাগরদিঘি থানার পুলিশ গিয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের ভাইপো হন বিপ্লব। তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় একটি সূত্রে আবার খবর, প্রাক্তন বাম সাংসদ জয়নাল আবেদিনের এক পুত্রকে তৃণমূলে দলে যোগদান করানোর জন্য বিপ্লব রাতে কাবিলপুর গিয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে। কিন্তু ওই বাম নেতার ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে রাজি হননি। তখনই এলাকায় রটে যায় যে বিপ্লব ভোটের আগে বিপুল পরিমাণ টাকা বিলি করতে কাবিলপুরে এসেছেন। তার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। টাকা বিলির অভিযোগ অস্বীকার করে আনারুল হক ওরফে বিপ্লব বলেন, ‘‘কাবিলপুরে আমাদের দলের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক করে আমি যখন দলের একটি গাড়ি করে ফিরছিলাম, তখন আচমকা কয়েক জন যুবক আমার গাড়িতে হামলা চালান। আমি গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার গাড়ি থেকে কেউ কোনও টাকা খুঁজে পায়নি।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘পেশিশক্তি এবং আর্থিক শক্তির অপব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছে তৃণমূল। টাকা বিলি করার সময় মানুষজন তৃণমূল নেতাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছে।’’ অন্য দিকে, বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘পরাজয় নিশ্চিত বুঝে ভোটের আগে মিথ্যা প্রচার করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।’’