—প্রতীকী চিত্র।
তৃতীয় দফার নির্বাচনের বাকি প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। এই আবহে পুলিশের তল্লাশিতে শ্মশান থেকে স্কুল, আইসিডিএস সেন্টার থেকে খেলার মাঠ, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার হল প্রচুর তাজা বোমা। সঙ্গে পাওয়া গেল বোমা তৈরির মশলাও। শনিবার এ নিয়ে জোর চাঞ্চল্য এলাকায়। বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডে। কিন্তু, নির্বাচনের ঠিক প্রাক্-মুহূর্তে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ ভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে ডোমকলের রায়পুরের খিদিরপাড়া, শ্মশানঘাট ও নিশ্চিন্তপুর ফরাজিপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতে উদ্ধার হয়েছে ১৬টি বোমা। প্লাস্টিকের বালতি, নাইলনের ব্যাগে সকেট বোমা এবং বোমা তৈরির মশলা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। একটি আইসিডিএস সেন্টারের পিছন থেকেও উদ্ধার হয়েছে প্লাস্টিকের ব্যাগভর্তি তাজা বোমা। ওই এলাকাগুলিতে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। খবর যায় বম্ব স্কোয়াডের কাছে। রাশি রাশি বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।
অন্য দিকে, বোমা উদ্ধারের পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ। সিপিএমের ডোমকল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘তৃণমূল চক্রান্ত করছে। নিজেরাই বোমা রেখে পুলিশকে খবর দিচ্ছে। আর বিরোধীদের নামে মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।’’ পাল্টা তৃণমূলের ডোমকল ব্লকের সভাপতি হাজিকুল ইসলামের মন্তব্য, ‘‘বিনা রক্তপাতে নির্বাচন করতে হবে, এটা আমাদের বক্তব্য। মানুষ তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে ভোট দেবে। কাউকে ভয় দেখানোর দরকার নেই। আর ‘বোমা কালচার’ আসলে বিরোধীদের। ওরাই এখানে-সেখানে বোমা রেখে পুলিশকে খবর দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’’
আগামী ৭ মে লোকসভা ভোটের তৃতীয় দফায় এ রাজ্যের চারটি আসনে ভোট। তার মধ্যে একটি আসন মুর্শিদাবাদ। ভোটঘোষণার পর থেকে মুর্শিদাবাদ লোকসভায় বেশ কিছু এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে মুর্শিদাবাদ নিয়ে বাড়তি নজরদারি রয়েছে কমিশনের। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তৃতীয় দফা ভোটে সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকবে এই মুর্শিদাবাদে। জেলার দু’টি লোকসভা আসনের জন্য ১৯০ কোম্পানি নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় ১১৪ কোম্পানি, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি এবং কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় ১২ কোম্পানি বাহিনী থাকবে।