গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক কেতন ইনামদাপ। ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটের আগে আচমকাই ইস্তফা দিলেন গুজারাতের বিজেপি বিধায়ক কেতন ইনামদার। জানালেন, আত্মমর্যাদা আগে। শুধু তাই-ই নয়, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন কেতন। তবে কোনও চাপের কারণে নয়, তাঁর ‘অন্তরের কথা’কেই প্রাধান্য দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি বিধায়কের। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী রঞ্জন ভট্টের হয়েও প্রচার করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, বরোদা আসন থেকে নির্বাচনে লড়ছেন রঞ্জন।
বরোদার সাভলির তিন বারের বিধায়ক কেতন। মঙ্গলবার সকালে স্পিকার শঙ্কর চৌধরির কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক। এর আগে ২০২০ সালে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন স্পিকারের কাছে। কিন্তু সেই সময় তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি। মঙ্গলবার তাঁর ইস্তফা প্রসঙ্গে বিধায়ক কেতন দাবি করেছেন, তাঁর এই সিদ্ধান্তে নেপথ্যে কোনও চাপের রাজনীতির নেই। তবে দলের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করতে ছাড়েননি তিনি।
কেতন বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে দলের পুরনো এবং ছোট কার্যকর্তাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমি অন্তত তেমনটাই মনে করছি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছিলাম।” ১১ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সাভলির প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলের সক্রিয় সদস্য। কিন্তু এ বার তাঁর কণ্ঠে উষ্মা ঝরে পড়তেই দলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
কেতন বলেন, “২০২০ সালেও আমি জানিয়েছিলাম আত্মমর্যাদার থেকে বড় কিছু হয় না। এবং এটা শুধু কেতন ইনামদারের একার কথা নয়, এই কথা দলের প্রত্যেক কর্মীর। আগেও বলেছিলাম, দলের যাঁরা পুরনো তাঁদের অবহেলা করা ঠিক নয়।” তবে তিনি যে বরোদার বিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর জন্য দিনরাত এক করে কাজ করবেন, সেই দাবিও করেছেন কেতন। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, ‘আত্মমর্যাদা’র শব্দের মধ্যে কেতনের দলের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ তা পরোক্ষে ধরা পড়েছে। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিধায়কের আচমকা ইস্তফা নিয়েই এখন নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। গুজরাতের ২৬ লোকসভা আসনের ভোট ৭মে।