প্রণত টুডু। —নিজস্ব চিত্র।
জল্পনাই সত্যি হল। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের চাকরি থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া প্রণত টুডুকে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করল বিজেপি।
জনজাতি সংরক্ষিত ঝাড়গ্রাম আসনে এ বার সাঁওতালি সাহিত্যিক কালীপদ সরেনকে (পাঠকমহলে খেরওয়াল সরেন নামে পরিচিত) প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাঁকে নিয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে শাসকদল। কিন্তু এত দিন দল প্রার্থী ঘোষণা না করায় খানিক বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। গত বার এই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছিল কুনার হেমব্রমকে। তিনি জিতেও ছিলেন। এ বার অবশ্য লোকসভা ভোটের আগে দলত্যাগ করেছেন তিনি। ফলে এ বার এখানে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে নানাবিধ জল্পনা চলছিল। প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখেই দেওয়াল লিখন করছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তার মাঝেই আচমকা হাসপাতালের সুপারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন রেডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসক প্রণত। তখন থেকেই জেলায় খবর ভাসতে শুরু করে, ঝাড়গ্রামে প্রণতকেই প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। শেষমেশ হলও তা-ই।
প্রণতের আদিবাড়ি ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার দোবাটি গ্রামে। কর্মসূত্রে ঝাড়গ্রাম শহরে থাকেন তিনি। গত ১২ বছর তিনি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের রেডিয়োলজি বিভাগে ছিলেন। সক্রিয় রাজনীতি না করলেও গত কয়েক মাস বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রণত। বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। বিভিন্ন গ্রামে স্বাস্থ্য শিবির, জঙ্গলমহলের মনীষীদের জন্মজয়ন্তী পালন, ভাষা প্রসারের মতো নানা কাজে ইতিপূর্বে প্রণতকে দেখা গিয়েছে। প্রণত আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্ব আমার উপর ভরসা রেখেছেন বলে। দল আমাকে ঝাড়গ্রাম আসন থেকে প্রার্থী করেছে। বিজেপি দলের হয়ে জয় যুক্ত হয়ে আদিবাসী সমাজ-সহ সার্বিক উন্নয়নের কাজকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করব। দীর্ঘ দিন অবহেলিত হয়ে রয়েছে ঝাড়গ্রাম। যাতে কাজ করতে পারি সে জন্য আমাকে প্রার্থী করেছে দল। আগামী দিন খুব ভাল দিন আসছে। নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ব।’’
পাল্টা তৃণমূল নেতা তথা ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুমন সাহু বলেন, ‘‘বিজেপি এত দিন প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছিল না। আমাদের লক্ষ্য জয়ের ব্যবধান বাড়ানো। রাজ্যের উন্নয়নের নিরিখে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে ভোটের মার্জিন বাড়াবে।’’