মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু। —নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী তথা চিকিৎসক প্রণত টুডুর মাথা ফাটল ইটের ঘায়ে। জখম হলেন বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরাও। ষষ্ঠ দফার ভোটে গড়বেতায় নির্বাচন পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও শাসকদল অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানায়, গড়বেতায় ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূলই। বিজেপি নেতারা ভোটারদের হুমকি দিচ্ছিলেন। তাই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে তার প্রতিবাদ করেছেন সাধারণ ভোটারেরা। এতে তৃণমূলের কোনও হাত নেই বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব। যদিও বিজেপি প্রার্থী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন।
শনিবার ভোট শুরুর পর থেকে গড়বেতায় বেশ কয়েকটি গন্ডগোলের খবর মিলেছে। প্রণতের দাবি, তিনি খবর পান, গড়বেতার বেশ কয়েকটি বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছিল না। তিনি গাড়ি নিয়ে ওই জায়গাগুলি পরিদর্শনে যান। তখনই আক্রমণের মুখে পড়েন। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, ‘‘আচমকাই দেখলাম, তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী আমার রাস্তা আগলে দাঁড়িয়েছে। তারা স্লোগান দিতে দিতে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করে গাড়ির দিকে। আমার সঙ্গে দুই সিআইএসএফ জওয়ান ছিলেন। তাঁরা জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’’ ইটের ঘায়ে মাথায় আঘাত নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয় পেশায় চিকিৎসক প্রণতকেও। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তিনি খুন হয়ে যেতে পারতেন।
প্রণত বলেন, ‘‘যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে না থাকত, তা হলে আমরা খুন হয়ে যেতে পারতাম। আমরা স্থানীয় পুলিশের কাছে কোনও নিরাপত্তা চাইনি।’’ এর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘দিদি সিএএ করতে দিতে চান না। এই ভাবে বাংলাকে পাকিস্তান করতে চান।’’ যদিও ওই গন্ডগোলের সময় পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশবাহিনী গিয়েছিল।
তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত ঝাড়গ্রাম আসনটি তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আবার ঝাড়গ্রাম লোকসভার সাতটি আসনেই জয়ী হয় তৃণমূল। এ বার ওই কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে তৃণমূল এবং বিজেপির। বিজেপির চিকিৎসক প্রার্থী প্রণতের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সাঁওতালি ভাষার কবি পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত কালীপদ সোরেনকে। শনিবার ভোটদানের পর কালীপদ বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হবে।’’