(বাঁ দিকে) উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান। —নিজস্ব চিত্র।
কেউ ক্ষোভ দেখালেন প্রতিবন্ধী শংসাপত্র না মেলায়। কেউ প্রশ্নের মুখে পড়লেন, আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে। কারও কাছে বাসিন্দারা প্রশ্ন করলেন, রাস্তা কবে হবে? সোমবার ভোট প্রচারে ক্ষোভ ও প্রশ্নের মুখে উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু ও দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ মালদহের হবিবপুরের আইহো বাজার কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙাচোরা একটি ওষুধের দোকানে তিনি হাতজোড় করে প্রণাম করতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ষাটোর্ধ্ব প্রফুল্লচন্দ্র সরকার। নিজেকে ১৯৯৮ সালের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মতোই প্রার্থীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি মুকলেসুর রহমান। তিনি বলেন, “তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই রয়েছি। সে সময় পঞ্চায়েতে দু’বার প্রার্থীও হয়েছিলাম। অথচ, ছেলের প্রতিবন্ধী শংসাপত্রের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হয়েছে। দল আমাকে না জানিয়েই আচমকা বুথ সভাপতি পদ থেকে সরিয়েও দেয়।” তাঁদের ক্ষোভের কথা খাতায় লিখে রাখেন প্রসূন। তিনি বলেন, “মানুষের অনেক সমস্যা রয়েছে। সে সমস্যার কথা শুনেছি। দলেরও কর্মীদের ক্ষোভের কথাও শুনেছি।”
বিজেপি প্রার্থী খগেন মু্র্মু এ দিন সকালে গাজলে কালীমন্দিরে পুজো দেন। পরে অটো, টোটো, পায়ে হেঁটে তিনি প্রচার চালান। প্রচারে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় খগেনকেও। তবে তিনি আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে গ্রামবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। তিনি এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে রাজ্যে আবাস, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা বন্ধ ছিল। এলাকার মানুষ সবই জানেন।”
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টায় সুজাপুর সুবহানিয়া হাই মাদ্রাসার সামনে থেকে প্রচার শুরু করেন দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ। সুজাপুরে রোড-শো করে গয়েশবাড়ি হয়ে তিনি প্রচার করেন বামনগ্রাম মোসিমপুর এলাকায়। দুপুরে জালালপুর মোড় থেকে প্রচার শুরু করতেই বেহাল রাস্তা নিয়ে বাসিন্দাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন শাহনাওয়াজ। জালুয়াবাধালের পথে মোটর বাইক থামিয়ে আসরাফুল শেখ নামে এক যুবক প্রশ্ন করেন, ‘‘এই রাস্তা কবে মেরামত হবে?’’ পাশেই থাকা কালিয়াচক ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সরিফুল ইসলাম ও প্রার্থী তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে এই রাস্তা তৈরির কাজের শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। শাহনাওয়াজ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এই রাস্তাও হবে।’’