বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। নিজস্ব চিত্র।
বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান ইদ-উল-ফিতরের দিন গুজরাতে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এবং মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানও এ দিন নিজেদের বাড়িতেই ছিলেন। খলিলুর সকালে শমসেরগঞ্জের বাড়িতে ছিলেন। পরে জঙ্গিপুরের বাড়িতে আসেন। খলিলুর ও তাহের দু’জনেই অবশ্য ইদে স্থানীয় বাসিন্দা ও যাঁরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তবে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী ইদের দিন সকাল থেকে নির্বাচনী প্রচার সারেন। বৃহস্পতিবার বহরমপুরের চোঁয়াপুর সুভাষ কলোনি এলাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে পায়ে হেঁটে প্রচার করেন তিনি। বাম, কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা এক সঙ্গে সামিল হন এ দিন। প্রচুর মহিলা ও পুরুষ একত্রিত হন সেখানে। বাম ও কংগ্রেসের পতাকা কাঁধে করে কর্মী সমর্থকরা মিছিলে পা মেলান। এ দিন সন্ধ্যায় বেলডাঙা কাপাসডাঙা যাওয়ার কথা কংগ্রেস প্রার্থীর। জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান ঘনশ্যামপুরে যান নমাজে যোগ দিতে। সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান নওদার বাড়ির কাছে ইদগাহে নমাজে যোগ দেন।
অন্যদিকে একই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানও ভোট প্রচার বন্ধ রেখেছিলেন। এ দিন সকালে স্থানীয় ইদগাহ ময়দানে দুই ছেলে, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে ইদের নমাজ আদায় করেন তিনি। পরে সারাটা দিন নওদার বাড়িতেই কাটান তিনি।
তাহের জানান, এ দিন অনেক আত্মীয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতাকর্মীও বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন। পায়েস, লাচ্চা, সিমুই, বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়েই এ দিন কেটেছে বলে জানান তিনি। তাহের বলেন, “সারাটা দিন বাড়িতে উৎসবের আবহেই কাটল। অনেক মানুষ বাড়িতে দেখা করতে এসেছিলেন।”
লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে এ দিন বহরমপুরে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।