দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল আগেই ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে পঞ্জাবে একাই লড়ব।’’ তার পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ওই রাজ্যে আপ কংগ্রেসের মধ্যে কোনও ‘জোট’ হচ্ছে না। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, ‘ইন্ডিয়া জোট’-এর সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে কেজরীর? রবিবার আপ প্রধান জানান, পঞ্জাবে একা লড়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ ভাবে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুপুরে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিলেন কেজরী। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আপ এবং কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে যৌথ ভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দু’দল পৃথকভাবে লড়বে পঞ্জাবে। এ নিয়ে কোনও শত্রুতা নেই।’’
বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’য় এক মঞ্চে থাকলেও কংগ্রেস এবং আপের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এমন খবরে গত কয়েক দিনে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। পঞ্জাবে কেজরীর ‘একা’ লড়ার ঘোষণার পর দুই দলের মধ্যেকার ‘দ্বন্দ্ব’ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছিল। তবে রবিবার কেজরীর ঘোষণার পর সেই জল্পনার অবসান ঘটল বলে মত রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার কেজরী বলেন, ‘‘আমরা দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করছি। আসন সমঝোতা নিয়েও কথা চলছে। জোট না হলে বিজেপির জন্য সহজ হবে।’’ উল্লেখ্য, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে দিল্লির সাতটি লোকসভা আসনে সব ক’টিই বিজেপির দখলে ছিল। ২০২৪ সালে সেই অঙ্ক পাল্টে ফেলার লক্ষ্য নিয়েছে আপ-কংগ্রেস।
কেজরী ছাড়াও পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মানও ‘একা’ লড়ার কথা বলেছিলেন। আম আদমি পার্টির তরফে আগেই জানান হয়েছে, পঞ্জাব এবং চণ্ডীগড় মিলিয়ে ১৪ আসনে একা লড়বে দল। কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না। দিন কয়েক আগে চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে একজোট হয়ে লড়েছিল আপ-কংগ্রেস। সেই ভোটে তাঁদের ভরাডুবি হয়। যদিও বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল দুই দলই। তবে শেষ পর্যন্ত মেয়র নির্বাচিত হন বিজেপির মনোজ সোনকার।
অন্য দিকে, বিহার, উত্তরপ্রদেশে ধাক্কা খেয়েছে জোট ‘ইন্ডিয়া’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হচ্ছে না। দিন তিনেক আগে ‘জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স’ দলের প্রধান তথা কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা ঘোষণা করেন, আগামী নির্বাচনে একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দল। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে না গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ন্যাশনাল কনফারেন্স।