Crime News

‘অমতে বিয়ে’, দু’বছর পর বৌমা বাড়িতে আসতেই গুলি শ্বশুরের, মৃত্যু তিন জনের

নীলু কুমারীর বিয়ে নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির। অভিযোগ ছিল, তাদের ছেলেকে ‘অপহরণ’ করে বলপূর্বক নিজের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। তাই বিয়ের পরেও নীলুর জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির দরজা বন্ধ ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০২
Share:

— প্রতীকী ছবি।

ছেলের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি বাবা। সে কারণেই বিয়ের পরও বাপের বাড়িতেই থাকতে হত পূত্রবধূকে। তবে বিয়ের দু’বছর পর সেই রাগে পূত্রবধূকে গুলি করে খুন করবেন শ্বশুর, তা ভাবতেই পারেননি প্রতিবেশীরা। শুধু একা পূত্রবধূ নন, তাঁর বাবা এবং দাদাকেও খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বিহারের সাহেবপুর কামাল থানার বিষ্ণুপুর আহুক গ্রামে বছর দুই আগে বিয়ে হয়েছিল নীলু কুমারী নামে এক মহিলার। তাঁর বাপের বাড়ি বেগুসরাই জেলার শ্রীনগর এলাকা। শনিবার সেখান থেকেই ছেলে এবং মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নীলুর শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন উমেশ যাদব। তাঁদের দেখেই রেগে যান নীলুর শ্বশুর। শুরু হয় বচসা। তার পরই রাগের মাথায় গুলি চালিয়ে বসেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, আহুক গ্রামের এক বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। সেই রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, নীলুর বিয়ে নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ির। অভিযোগ ছিল, তাদের ছেলেকে ‘অপহরণ’ করে বলপূর্বক নিজের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন উমেশ। তাই বিয়ের পরেও নীলুর জন্য তাঁর শ্বশুরবাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। দু’বছর ধরে বার বার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন উমেশ। তবে কোনও লাভ হয়নি।

শনিবার দুপুরে নীলু এবং ছেলে রাজেশ যাদবকে নিয়ে উমেশ মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান। তাঁদের দেখেই রেগে যান সকলে। দু’পক্ষের বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। তার মাঝেই আচমকা নীলুর শ্বশুর বন্দুক বার করে গুলি চালান উমেশদের লক্ষ্য করে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকেরা জানান, তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement