কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
আবার পশ্চিমবঙ্গে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে জোড়া সভা করতে পারেন তিনি। রবিবারই প্রচারে রাজ্যে আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁর কপ্টার নামতেই পারেনি। ফলে দার্জিলিঙে সভা না করেই ফিরতে হয় শাহকে। বিজেপি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোটপ্রচারে বাংলায় আসার কথা শাহের। রায়গঞ্জ এবং মালদহ দক্ষিণে দু’টি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।
লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে প্রায়ই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কেউ না কেউ আসছেন। লোকসভা ভোট ঘোষণার পর রাজ্যে তিন দিন এসে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভোট ঘোষণার আগেও এসেছেন তিনি। অনুরাগ ঠাকুর থেকে রাজনাথ সিংহ— কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা একাধিক সভা করছেন বাংলায়। তবে ভোট ঘোষণার পর শাহ এক বারই রাজ্যে এসেছিলেন। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করে গিয়েছেন তিনি। রবিবার দার্জিলিঙে তাঁর সভা ছিল। তবে সেই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি।
রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে ভোট রয়েছে দ্বিতীয় দফাতে। ২৬ এপ্রিল হবে ভোটগ্রহণ। এ বার এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে কার্তিক পালকে। ২০১৯ সালে এই আসনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। পরে তাঁকে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীও করা হয়েছিল। তবে এ বার বিজেপি দেবশ্রীকে আর এই আসন থেকে টিকিট দেয়নি। কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে। রায়গঞ্জে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ভোট মিটতেই পদ্মশিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জে বিজেপিকে হারাতে তাই তাঁর উপরই ভরসা রাখছে বাংলার শাসকদল।
তৃতীয় দফায় ভোট রয়েছে মালদহ দক্ষিণে। ২০১৯ সালে এই লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিল কংগ্রেস। ২০০৯ সাল থেকে টানা এই কেন্দ্রে জিতে আসছেন কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী। এ বার হাতশিবির এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে তাঁরই পুত্র ঈশা খানকে। অন্য দিকে, বিজেপি প্রার্থী করেছে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। গত বার তাঁকেই প্রার্থী করেছিল পদ্মশিবির। উল্লেখ্য মঙ্গলবার কার্তিক এবং শ্রীরূপার সমর্থনে সভা করতে পারেন শাহ।
রবিবার দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তার সমর্থনে প্রচার করতে রাজ্যে আসার কথা ছিল শাহের। কিন্তু দার্জিলিঙে রবিবার সকাল থেকে কুয়াশা। আকাশও মেঘাচ্ছন্ন। সেই কারণেই শাহের কপ্টার নামতে পারেনি লেবংয়ে। দু’বার অবতরণের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। পরে বিহারের দিকে চলে যায় কপ্টার। পরে ফোনে সমর্থকদের জন্য বার্তাও পাঠিয়েছিলেন তিনি।