রায়গঞ্জে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে ভিক্টরকে স্বাগত জানাচ্ছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক আনওয়ারুল হক। ভিক্টরের সঙ্গে রয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তও। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
প্রথমে বামেদের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। তার পরে রায়গঞ্জের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রয়াত প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির মূর্তিতে মালা দিয়ে শনিবার থেকেই প্রচার শুরু করে দিলেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজ (ভিক্টর)।
চাকুলিয়ার প্রাক্তন বিধায়ক ভিক্টরকে সমর্থন জানিয়ে এই কেন্দ্রে প্রার্থী দেয়নি বামেরা। প্রার্থী হওয়ার পরে শনিবার কলকাতা থেকে চাকুলিয়ার বাড়িতে ফেরেন ভিক্টর। এর পরে দুপুরে তিনি রায়গঞ্জে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে যান। সেখানে কিছু ক্ষণ থেকে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ও দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহ-সহ জেলা নেতাদের সঙ্গে রায়গঞ্জে সিপিএমের জেলা কার্যালয়ে পৌঁছে যান। তাঁকে স্বাগত জানান সিপিএমের জেলা সম্পাদক আনওয়ারুল হক-সহ বামেদের জেলা নেতৃত্ব।
এর পরে, মোহিত, আনওয়ারুল ও ভিক্টরের উপস্থিতিতে সেখানে কংগ্রেস ও সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। মোহিত ও আনওয়ারুলের দাবি, বৈঠকে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে ভিক্টরের সমর্থনে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেস এক জোট হয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জের প্রচারে
ভিক্টর বলেন, ‘‘রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি ও তৃণমূলের একই প্রার্থী। কারণ, কৃষ্ণবাবু (তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী) এখনও বিজেপির বিধায়ক। দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ বারে লোকসভা ভোটে মানুষ বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন। জেলার সংখ্যালঘু মানুষেরা তৃণমূলের তুরুপের তাস হিসেবে আর ব্যবহৃত হবেন না।” কৃষ্ণর বক্তব্য, ‘‘ভোটের সময় ছাড়া কংগ্রেস ও বামেদের দেখা যায় না। তৃণমূল সারা বছর মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করে। মানুষ বাম-কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে
ভোট হবে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের দাবি, “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উন্নত দেশ গড়তে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ বিজেপির পাশে রয়েছেন।”