—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের মুখে দেশে বেকারত্বের প্রশ্নে বাড়ছে শাসক ও বিরোধী শিবিরের চাপানউতোর। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যখন মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বেকারত্বকেই ভোটের অন্যতম অস্ত্র করতে চাইছেন, তখন কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দাবি, গত বছর দেশে ওই হার নেমেছে ৩.১ শতাংশে। যা তিন বছরের মধ্যে সব থেকে কম।
পরিসংখ্যান মন্ত্রকের আওতায় ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অর্গানাইজ়েশন কাজের বাজারের হাল বুঝতে ‘পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে’ (পিএলএফএস) চালায়। মঙ্গলবার তারা বলেছে, সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২৩-এ ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে বেকারত্ব দাঁড়িয়েছে ৩.১%। ২০২২ সালে ছিল ৩.৬%। ২০২১-এ ৪.২%।
রাহুল অবশ্য সম্প্রতি বলেছেন, বেকারত্বই প্রধান সমস্যা। মোদী জমানায় তা ৪০ বছরে সর্বোচ্চ হয়েছে। কৌশিক বসুর মতো অর্থনীতিবিদেরা বার বার কর্মসংস্থানহীন আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে সাবধান করছেন। মাস দুয়েক আগে এই পিএলএফএস-এর তথ্য বলেছিল, ২০২২ সালের জুলাই থেকে গত বছর জুন পর্যন্ত স্নাতকদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৩.৪%। যা তার আগের বছরের ওই সময়ের ১৪.৯% থেকে কিছুটা কম। বিশেষজ্ঞ মহল তখন দাবি করে, খোদ সরকারি সমীক্ষায় উঠে আসা এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ১০% পেরোন বেকারত্ব সব সময়ই উদ্বেগের।
গত বছর লোকসভায় ও সংসদের বাইরে হাঙ্গামার ঘটনায় বিরোধী শিবিরের দাবি ছিল, অভিযুক্তেরা বেকারত্বের হতাশা থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। বিজেপি পাল্টা জবাব দিতে বলেছিল, ভারতে এখন বেকারত্বের হার ৩.২%। ছ’বছরে সব থেকে কম।