(বাঁ দিকে) অধীর চৌধুরী এবং রভনীত সিংহ বিট্টু। — ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালে নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে অধীর চৌধুরীকে সাময়িক ভাবে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে সেই দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকমান্ড। দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ের আগে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন পঞ্জাবের লুধিয়ানার সেই সাংসদ রভনীত সিংহ বিট্টু।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওড়ের উপস্থিতিতে দলের সদস্যপদ গ্রহণের পরে রভনীত বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পঞ্জাবের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আরও অনেক কাজ তাঁরা করবেন। তাঁদের প্রতি আমার ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’’ সূত্রের খবর, লুধিয়ানার দু’বারের সাংসদ রভনীতকে তাঁর পুরো কেন্দ্র থেকেই লোকসভা ভোটে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি।
রভনীতের পিতামহ বিয়ন্ত সিংহ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিলেন তিনি। পঞ্জাবে সন্ত্রাস দমনে তাঁর উজ্বল ভূমিকার কথা এখনও স্মরণ করা হয়। গত কয়েক বছরে পঞ্জাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংহ, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত সিংহ বাদল, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল ঝাখরের মতো প্রথম সারির নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সেই তালিকায় এ বার নাম জুড়ল শহিদ বিয়ন্ত সিংহের পৌত্রের। রভনীতের দলত্যাগ পঞ্জাবে কংগ্রেসের ‘বড় ক্ষতি’ বলেই মনে করছেন ভোটপণ্ডিতদের অনেকে।
পঞ্জাবে ১৩টি লোকসভা আসন রয়েছে। ২০১৯ সালের ভোটে কংগ্রেস আটটি আসনে জয়ী হয়েছিল। প্রয়াত প্রকাশ সিংহ বাদলের অকালি দল এবং বিজেপি জোট বেঁধে লড়াই করে দু’টি করে মোট চারটি আসন পেয়েছিল। আম আদমি পার্টি (আপ) পেয়েছিল একটি আসন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশ্য চমক দেয় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতে জয়ী হয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তারা। মাত্র ১৮টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কংগ্রেসকে। আলাদা ভাবে লড়ে অকালিরা ৩ এবং বিজেপি ২টি আসনে জিতেছিল।