(বাঁ দিকে) লালুপ্রসাদ এবং রাহুল গান্ধী। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
লোকসভা ভোট পর্ব শুরু হতে মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। কিন্তু বিহারে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের ‘মহাগঠবন্ধন’ এখনও আসন রফা চূড়ান্ত করতে পারল না। গত সপ্তাহ থেকে পটনা এবং দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠকের পরেও আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে অন্তত পাঁচটি আসন নিয়ে ঐকমত্য হয়নি বলে এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে।
টানাপড়েনের মধ্যেই আরজেডি একতরফা ভাবে কয়েকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার রাতে দু’পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ কংগ্রেসকে আটটি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে। আসনগুলি হল, সাসারাম, সমস্তিপুর, পটনা সাহিব, ভাগলপুর, মুজাফ্ফরপুর বা শিওহর, সুপৌল, কিষাণগঞ্জ এবং পশ্চিম চম্পারণ।
অন্য দিকে, কংগ্রেস এখনও অওরঙ্গাবাদ, বেগুসরাই, কাটিহার, পূর্ণিয়া এবং সিওয়ানের দাবিতে অনড় রয়েছে। কাটিহারে চার বারের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিখ আনোয়ার এবং পূর্ণিয়ায় সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাপ্পু যাদবকে লালু-পুত্র তেজস্বী আসন ছাড়তে রাজি না হওয়ায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে।
কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত অওরঙ্গাবাদে দলের প্রাক্তন সাংসদ নিখিল কুমারকেও লালুর দল আসন ছাড়েনি। নিখিলের বাবা বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ওই কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। নিখিলের স্ত্রীও অওরঙ্গাবাদ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু সেখানে একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে আরজেডি। অন্য দিকে, কংগ্রেস জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের জন্য বেগুসরাই আসনটি চাইলেও তা একতরফা ভাবে সিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে আরজেডির সঙ্গে সমঝোতা করে ন’টি লোকসভা আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। জিতেছিল কিসানগঞ্জে। লালুপ্রসাদ-তেজস্বীর দল ১৯টিতে লড়ে একটিতেও জিততে পারেনি। অন্য তিনটি আঞ্চলিক দলকে আরজেডি ১১টি আসন ছাড়লে তাদের ঝুলিও ছিল শূন্য। বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জিতেছিল বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপির জোট। এ বার কংগ্রেসের পাশাপাশি তিন বাম দল— সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর সঙ্গেও আসনরফা নিয়ে আলোচনা চলছে আরজেডির।