বাঁ দিক থেকে, উদ্ধব ঠাকরে এবং প্রকাশ অম্বেডকর। — ফাইল চিত্র।
দিল্লিবাড়ির লড়াইয়ে আসন সমঝোতা নিয়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র অন্দরে টানাপড়েনের মধ্যেই শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরেকে নিশানা করলেন ‘বঞ্চিত বহুজন অঘাড়ী’ (ভিবিএ)-র প্রধান তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ অম্বেডকর।
বিআর অম্বেডকরের পৌত্র প্রকাশের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার)-র জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র আসন সমঝোতা নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার শিবসেনা (ইউবিটি)-র বিরুদ্ধে ‘একতরফা এবং অবাঞ্ছিত’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করছি শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব নয়।’’
ভিবিএ প্রধানের ওই মন্তব্যের পরেই উদ্ধবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত। তবে আমরা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত প্রকাশ অম্বেডকর ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র পাশে থাকবেন।’’ গত সপ্তাহে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে চিঠি লিখে মহারাষ্ট্রের সাতটি লোকসভা আসনে ‘হাত’ প্রতীকের প্রার্থীদের সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন প্রকাশ। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র অন্য দুই শরিক শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (শরদ পওয়ার)-এর উপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই।
মরাঠওয়াড়া, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে দলিত জনগোষ্ঠীর উপর প্রভাব রয়েছে প্রকাশের। কট্টর বিজেপি-বিরোধী হিসাবে পরিচিত এই নেতা একদা কংগ্রেসের সহযোগী ছিলেন। অকোলা থেকে ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে দু’বার লোকসভা ভোটেও জিতেছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর সঙ্গে জোট গড়েছিলেন তিনি। নিজে শোলাপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও পেয়েছিলেন এক লক্ষ ৭০ হাজার ভোট।
প্রকাশের কারণেই ওই কেন্দ্রে বিজেপির কাছে হেরে যান কংগ্রেস প্রার্থী তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে। এ বার ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে উদ্ধব এবং শরদের দলের সঙ্গে কংগ্রেসের এখনও ঐকমত্য হয়নি। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশের ঘোষণা মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোটের অবস্থান আরও নড়বড়ে করে তুলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।