প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি।
মাত্র একদিনেই ‘বিশ্বগুরু’ থেকে ‘বিশ্ববন্ধু’! লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে নরেন্দ্র মোদীর ‘ভোলবদল’ নিয়ে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তাঁকে কটাক্ষ করা শুরু করে দিলেন। এত দিন বিজেপি দাবি করত, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত ‘বিশ্বগুরু’ হয়ে উঠেছে। অনেক বিজেপি নেতা মোদীকেই ‘বিশ্বগুরু’ বলতেন। কিন্তু ভোটে খারাপ ফলের পরেই বিদায়ী সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত ‘বিশ্ববন্ধু’ হিসেবে কাজ করবে। আজ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘‘বিশ্বগুরু হলে সব সময়ই বিশ্বগুরু থাকা উচিত। হঠাৎ বিশ্ববন্ধু কেন!’’
মোদী পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তার পরে এনডিএ-র বৈঠকে একই পোশাক পরেছিলেন। সেই পোশাকেই এনডিএ-র শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ছবি তোলেন তিনি। কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, এত দিন তো উনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে আলাদা আলাদা পোশাকে যেতেন। একাই ছবির ফ্রেম জুড়ে থাকতেন। এখন নিজেই অন্যদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। এনডিএ-র বৈঠকে অমিত শাহকে দূরে সরিয়ে রেখে চন্দ্রবাবু নায়ডু, নীতীশ কুমারদের পাশে বসাচ্ছেন!
কংগ্রেস আজ সারা দিন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ অতীতে তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু সম্পর্কে কী বলেছিলেন, তা প্রকাশ্যে এনেছে। মোদী অতীতে চন্দ্রবাবুকে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। শাহ বলেছিলেন, চন্দ্রবাবু দেশের সবথেকে সুবিধাবাদী নেতা। কংগ্রেসের প্রশ্ন, মোদী কি এখন অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহারকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত রাজ্যের তকমা দেবেন? রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বলের কটাক্ষ, ‘‘নরেন্দ্র মোদী তো নিজেকে ঈশ্বরপ্রেরিত বলে দাবি করছিলেন। ঈশ্বর কি কখনও জোট করতে পারেন? মোদীজিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে!”