প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে অভিন্ন ‘শত্রু’ বিজেপিকে হারাতে শেষ পর্যন্ত হাত মেলাতে চলছে কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। গত কয়েক দিনের টানটান উত্তেজনার পর বুধবার দুপুরে এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর কোনও মতবিরোধ নেই এবং লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে দুই দল সমঝোতা করে লড়বে।
‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ব’, এই কথাটি অখিলেশ অতি সহজে ঘোষণা করলেও কাজটা মোটেই সহজে হয়নি। বরং গত তিন সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক টানাপড়েনের জেরে উত্তরপ্রদেশে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। গত বছরই অখিলেশ জানিয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেই লড়বে ‘ইন্ডিয়া’। কিন্তু বাদ সাধছিল আসন সংখ্যা।
এসপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, কংগ্রেসের তরফে সে রাজ্যের ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্য ২৮টি দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে অখিলেশ তার অর্ধেকও দিতে রাজি ছিলেন না। দফায় দফায় আলোচনার পরে গত শনিবার ১৭টি আসন ছাড়ার ‘শেষ প্রস্তাব’ কংগ্রেসকে দিয়েছিলেন এসপি নেতৃত্ব। কিন্তু রাহুল অনুগত নেতারা ২০টির কমে রাজি হতে চাননি। মোরাদাবাদ এবং বালিয়া আসনের দাবিও ছাড়তে চাননি তাঁরা।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, টানাপড়েনের এই আবহে মঙ্গলবার রাতে প্রিয়ঙ্কা ফোন করেন অখিলেশকে। জানান, মোরাদাবাদ এবং বালিয়ার বদলে হাথরস, শ্রাবস্তী এবং বারাণসীর মধ্যে যে কোনও দু’টি আসন ছাড়লে কংগ্রেস রাজি। এর পরেই ‘বরফ গলে’। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের সময় প্রিয়ঙ্কার হস্তক্ষেপেই আসন রফা নিয়ে কংগ্রেস-এসপির ‘জট’ কেটেছিল। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে জোটের ঘোষণা করেছিলেন দু’দলের দুই রাজ্য সভাপতি রাজ বব্বর ও নরেশ উত্তম পটেল।