প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটে ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় তিনটি কেন্দ্রে কোথায়, কোন বুথে কত বাহিনী মোতায়েন করতে হবে, তা স্থির করতে আজ, শনিবার প্রাথমিক আলোচনায় বসছেন বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্হা এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিলকুমার শর্মা। দু’জনেই পৌঁছে গিয়েছেন শহরে।
প্রথম দফায় ভোট হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে। তার আগে ১০ এপ্রিল সব জেলাশাসকের সঙ্গে নিরাপত্তা মোতায়েন নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক করার কথা দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের। সেখানে থাকবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-ও।
রাজ্যে এখন ১৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। কমিশনের হিসেবে একটি লোকসভা কেন্দ্রের সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে লাগবে ১১২ কোম্পানি বাহিনী। সেই সূত্রে তিনটি কেন্দ্রের জন্য দরকার অন্তত ৩৩৬ কোম্পানি। ১৯ এপ্রিলের আগে তা আসবে কি না, তা সম্ভবত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষকের বৈঠকের উপরে নির্ভর করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রের খবর, এ বারই প্রথম সব বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের (শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কমিশনের কন্ট্রোলরুমে ভোটের সরাসরি সম্প্রচার) সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে। তা নিয়ে এ দিন বৈঠক করেছেন কমিশনের কর্তারা। তাঁদের দাবি, বুথের মধ্যে অবাঞ্ছিত কিছু ঘটলেই তা জানান দেবে ওই প্রযুক্তি। ফলে ভুয়ো ভোট বা অন্য যে-কোনও গোলমাল ঠেকানো যাবে আরও সক্রিয় ভাবে।
অন্য দিকে এ দিন তৃণমূলনেত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ কমিশনকে জানিয়েছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উল্লেখ করার সময় ওই আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনার ভিডিয়ো ক্লিপও কমিশনকে দিয়েছে বিজেপি।
গত বিধানসভা থেকেই ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছিল কমিশন। প্রথম তিনটি কেন্দ্রের জন্য ওই ভোটগ্রহণ শুক্রবার শুরু হয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। প্রবীণদের পাশাপাশি ৪০% এর বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটারেরাও এই সুবিধা পাবেন। কমিশন সূত্রের তথ্য, কোচবিহারে ২২৯২ জন প্রবীণ এবং ৭৬১ জন বিশেষ ভাবে সক্ষম ভোটার রয়েছেন। জলপাইগুড়িতে সেই সংখ্যা যথাক্রমে ২৪৮৬ এবং ১৩২৩ জন। আলিপুরদুয়ারে যথাক্রমে ১৯১১ এবং ৯৬২ জন এমন ভোটার রয়েছেন।