ভোটদানের পর উজির আলি। —নিজস্ব চিত্র।
বয়স ১০১ বছর। হাঁটাচলা বিশেষ করতে পারেন না। ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়ার মতো ধকল নিতে পারবে না শরীর। কিন্তু, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন। অবশেষে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় তাই বাড়িতে বসে ভোট দিলেন অশীতিপর উজির আলি। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের উদয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা উজিরের বাড়িতে যান নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
১০১ বছরের বৃদ্ধের পরিবারের সদস্যেরা জানান, বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত হলেও ভোটদানের অধিকার থেকে কিছুতেই পিছু হটতে চাননি উজির আলি। তাই তাঁর ভোটদানের ইচ্ছার কথা জানানোর পর শনিবার কমিশনের প্রতিনিধিরা পৌঁছে গিয়েছিলেন। কমিশনের ব্যবস্থাপনায় বাড়িতে বসে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে আপ্লুত বৃদ্ধ। পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তিনি বলেন,‘‘দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে ভোটদানে অংশ নেওয়াটা জরুরি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার এখন ১০১ বছর বয়স। যৌবনে যখন ভোট দিতাম তখন পুলিশি তৎপরতা থাকত ঠিকই। কিন্তু ভোট নিয়ে তখন কমিশনের এত ব্যবস্থাপনা,প্রচারের জৌলুস ছিল না। এই অসুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতে বসেই যে ভোট দিতে পারব, সেটা ভাবতে পারিনি। কমিশনের লোকজন বাড়িতে এসে আমার ভোট নিয়ে গিয়েছেন। এ জন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
খণ্ডঘোষ বিধানসভা বিষ্ণুপুর লোকসভার অধীনস্থ। আগামী ২৫ মে ওই লোকসভা আসনে ভোট। ৮৫ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকরা যাতে বাড়িতে বসেই ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে ইভিএমের পরিবর্তে পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এই ব্যবস্থায় শুক্রবার খণ্ডঘোষের খুদকুড়ির বাসিন্দা ১০২ বছরের সত্যনারায়ণ সাঁইও ভোট দিয়েছেন।