শান্তনু ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তার মধ্যে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একদল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে স্বরূপনগরের বালতি এলাকার ঘটনা।
বিজেপি সূত্রে খবর, বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু স্বরূপনগর এলাকার দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান কয়েক জন। উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাদের দলের কেউ এই বিক্ষোভের অংশ নন। এটা গ্রামবাসীদের ‘স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভ।’
স্বরূপনগরের বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকারের অভিযোগ, ‘‘বালতি এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আগামিকাল (সোমবার) ভোটে বিরোধীরা যাতে বাড়ি থেকে না বার হয়, তার জন্য ধমকানো-চমকানো হচ্ছে। এই খবর পেয়ে শান্তনু ঠাকুর ঘটনাস্থলে যান। তিনি দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়।’’ অন্য দিকে, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা রমেন সর্দারের দাবি, ‘‘বিক্ষোভের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তিনি বলেন, ‘‘শান্তনু ঠাকুর পাঁচ বছর সাংসদ হওয়ার পরে খুব বেশি এলাকায় আসেননি। এলাকার কোনও উন্নয়ন করেননি। তাই এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপির ‘মতুয়া মুখ’ শান্তনু ঠাকুর তৃণমূলের কাছ থেকে বনগাঁ আসনটি ছিনিয়ে নেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ওই লোকসভার অন্তর্গত ছ’টি বিধানসভা আসন কল্যাণী, হরিণঘাটা, বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ এবং গাইঘাটায় জিতেছিল বিজেপি। এক মাত্র স্বরূপনগরে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। পঞ্চম দফায়, ২০ মে ওই কেন্দ্রে ভোট।