WBCS পরীক্ষার যোগ্যতা সংগৃহীত ছবি
ছোটবেলা থেকে ডব্লিউবিসিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখেন? পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে আসীন হয়ে রাজ্যের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের নীতি প্রণয়ন করার যে সব সম্মানজনক ও লোভনীয় চাকরির আকাঙ্ক্ষা আপনার রয়েছে, তার জন্য নিৰ্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার মাপকাঠি আছে। ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষাকে তাই এক রকম ভাবে ‘পশ্চিমবঙ্গের আইএএস’ পরীক্ষা বলেই গণ্য করা হয়।
মোট তিনটি ধাপে এই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়—১. প্রিলিমিনারি, ২. মেইন্স এবং ৩. পার্সোনালিটি টেস্ট। প্রতিটি ধাপে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই পরবর্তী ধাপের পরীক্ষায় বসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন। পরীক্ষাটি অফলাইন মাধ্যমে ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় নেওয়া হয়।
ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য যে যোগ্যতার মাপকাঠিগুলো না থাকলেই নয়, তার বিস্তারিত তথ্য নীচে দেওয়া হল:
বয়সসীমা:
পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন ডব্লুবিসিএসের গ্রুপ ‘এ’, ‘সি’ ও ‘ডি’-এর পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা ২১ বছর ধার্য করা হয়েছে এবং গ্রুপ ‘বি’-এর ক্ষেত্রে ২০ বছর ধরা হয়েছে। সর্বোচ্চ বয়সসীমা গ্রুপ ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’-এর ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে ৩৬ বছর (প্রার্থী যে বছর পরীক্ষায় বসবেন, সেই বছরের ১ জানুয়ারিতে তাঁর বয়স)। গ্রুপ ‘ডি’-এর ক্ষেত্রে এই সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৯ বছর (প্রার্থী যে বছর পরীক্ষায় বসবেন, সে বছরের ১ জানুয়ারিতে তাঁর বয়স) রাখা হয়েছে। মাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষার শংসাপত্রে যে জন্মদিনের উল্লেখ আছে, তার ভিত্তিতেই প্রার্থীদের বয়সের হিসেব করা হবে। এসসি, এসটি, ওবিসি এবং পিডব্লিউডি প্রার্থীদের জন্য এই বয়সসীমার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে , যেমন এসসি, এসটি-দের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পাঁচ বছর ছাড় দেওয়া হয়েছে। ওবিসিদের জন্য এই বয়সসীমায় অতিরিক্ত তিন বছর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ দিকে পিডব্লিউডি প্রার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ ৪৫ বছর রাখা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য পরীক্ষার্থীদের যে কোনও বিষয়ে কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রির অধিকারী হতে হবে। এ ছাড়াও প্রার্থীদের বাংলা ভাষায় কথা বলতে, লিখতে ও পড়তে জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে যাদের মাতৃভাষা নেপালি তাদের জন্য এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।
জাতি:
প্রত্যেক আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। জন্মসূত্রে ভারতীয় হলে বা পরে নাগরিকত্ব পেলে, দু’ক্ষেত্রেই জাতিগত শংসাপত্র দেখাতে হবে।
ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার নোটিফিকেশন বেরোনোর পর তাই পরীক্ষার্থীদের ভাল ভাবে সেটি পড়ে তবেই আবেদন জানান উচিত। যদি উপরিউক্ত যোগ্যতার মাপকাঠি কেউ পূরণ না করতে পারেন, তা হলে তাঁর আবেদনপত্র খারিজ হয়ে যাবে।