প্রতীকী চিত্র।
ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিকে চালু হয়েছে সিমেস্টার সিস্টেম। যেখানে আমূল পরিবর্তন হয়েছে পরীক্ষা নেওয়ার ধরন থেকে সিলেবাস। কয়েক মাস আগেই শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছিল, সিমেস্টার ব্যবস্থায় ব্যবহার করা যাবে না ক্যালকুলেটর। এ বার নির্দেশিকায় পরিবর্তন আনল শিক্ষা সংসদ।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, একাদশ এবং দ্বাদশে মোট চারটি সিমেস্টারে পরীক্ষা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল শিক্ষা সংসদ। পড়ুয়াদের নির্বাচিত বিষয়গুলির মধ্যে যে বিষয়ের প্র্যাক্টিক্যাল রয়েছে, সেখানে জটিল অঙ্কের দ্রুত সমাধান করার জন্য ক্যালকুলেটর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার ফলে চিন্তায় পড়েছিল পড়ুয়ারা। এ বার তাদের কথা ভেবে নিয়মে পরিবর্তন আনল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “২০২৫-’২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ক্যালকুলেটর ব্যবহারে আমরা ছাড়পত্র দিলাম। তবে পড়ুয়ারা শুধু মাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে, কোনও বৈজ্ঞানিক ক্যালকুলেটর না।”
তবে শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, শুধু মাত্র প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা কেন, থিয়োরি পরীক্ষাতেও অনেক জটিল অঙ্ক থাকে, তা হলে পড়ুয়ারা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হবে। সেই বিষইয়েও নজর দেওয়া উচিত ছিল শিক্ষা সংসদের।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “কাউন্সিল তাঁদের সিদ্ধান্ত আংশিক প্রত্যাহার করল। আমরা মনে করি শুধু প্র্যাক্টিক্যাল নয়, বেশ কিছু বিষয়ের থিয়োরির পরীক্ষার ক্ষেত্রেও ক্যালকুলেটরের প্রয়োজন আছে। সেক্ষেত্রেও ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক।”
যদিও শিক্ষক মহলের অন্য এক অংশের বক্তব্য, যে পদ্ধতিতে নয়া সিমেস্টার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, তাতে থিয়োরি পরীক্ষায় ক্যালকুলেটরের বিশেষ প্রয়োজন হবে না। তাই পড়ুয়াদের কথা ভেবেই প্র্যাক্টিক্যালে ক্যালকুলেটর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “প্রথমে পুরোপুরি বাতিল করেও প্র্যাক্টিক্যালে ক্যালকুলেটরের ব্যবহার ছাত্র স্বার্থেই নেওয়া। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”