পরিবেশবিদ্যা নিয়ে কী কোর্স রয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বর্তমানে বহু শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণি পাশের পর পরিবেশবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনার দিকে ঝুঁকছেন। এবং এই বিষয়ের উপর কোর্স সম্পূর্ণ করার পর পেশা হিসাবেও বেছে নিচ্ছেন পরিবেশবিদ্যার বিভিন্ন বিভাগকে। এই প্রতিবেদনে,পরিবেশবিদ্যা নিয়ে কী কোর্স রয়েছে, চাকরির কী সুযোগ রয়েছে— যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
যোগ্যতা এবং কোর্স
পরিবেশবিদ্যা নিয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পরবর্তী কালে পিএইচডি করার সুযোগ থাকে।
পরিবেশবিদ্যা নিয়ে স্নাতক পড়তে হলে, শিক্ষার্থীকে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।
পরিবেশবিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে হলে, শিক্ষার্থীকে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।
পরিবেশবিদ্যা নিয়ে পিএইচডি করতে হলে, শিক্ষার্থীকে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে।প্রতিটি কোর্সের ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হতে পারে।
কী কী বিষয় থাকে পরিবেশ বিদ্যার অভ্যন্তরে?
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় পরিবেশবিদ্যা:
এ ছাড়াও আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেখানে পরিবেশ বিদ্যা নিয়ে ইউজি, পিজি কোর্স করানো হয়।
পরিবেশ বিদ্যা নিয়ে পড়ার পর কাজের কী সুযোগ রয়েছে:
এনভায়রনমেন্টাল কনসালটেন্ট বা পরিবেশগত পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করতে পারেন।
পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ের উপর সাংবাদিকতার করার সুযোগ থাকে। যেখানে পরিবেশের উপর গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ কভার করা, এই বিষয়ের উপর নতুন আইন ও নীতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি তুলে ধরা যায় ।
এনভায়রনমেন্ট ফটোগ্রাফার হিসাবে বিভিন্ন ম্যাগাজিন এবং সংবাদপত্রের হয়ে পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়ের উপর কাজ করার সুযোগ থাকে।
অধ্যাপক হিসাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবেশবিদ্যা বিষয়ের উপর পড়ানোর সুযোগ থাকে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হিসাবে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ থাকে। দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করার যাবতীয় বিষয়গুলি পর্যালোচনা করতে হয়।
ডিরেক্টর অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবেও কাজ করার সুযোগ থাকে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনা করতে হয়।
ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি, এনভায়রনমেন্টাল কনসালটিং ফার্ম, দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড, এনজিও, ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, টেলিভিশন সংস্থা এবং গবেষণা কেন্দ্র-সহ আরও অনেক জায়গায় পরিবেশবিদ্যা নিয়ে পড়ার পর চাকরির সুযোগ থাকে।