Workshop at Ashutosh College Hub Center

সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে ভেষজ চাষ, হাতেকলমে দীর্ঘস্থায়ী জীবনের কর্মশালা আশুতোষ কলেজের হাব সেন্টারে

আশুতোষ কলেজ, শ্যামাপ্রসাদ কলেজ, নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয় এবং পাঁচুড় কলেজ-সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান মিলিত ভাবে পড়ুয়াদের হাতেকলমে প্রাকৃতিক জিনিসের পাঠ দিল।

Advertisement

অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৯
Share:

‘সাস্টেইনেবল প্র্যাক্টিস’ কর্মশালা। ছবি: সংগৃহীত।

পৃথিবী জুড়ে সবুজ কমছে। চারিদিকে ভেজাল জিনিসের বাড়বাড়ন্ত। এরই মাঝে নিত্যদিনে প্রকৃতির গুরুত্ব বোঝাতে বৃহস্পতিবার কলেজের ভাষা ক্যাম্পাসে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। আশুতোষ কলেজ, শ্যামাপ্রসাদ কলেজ, নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয় এবং পাঁচুড় কলেজ-সহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান মিলিত ভাবে পড়ুয়াদের প্রাকৃতিক জীবনের কাছাকাছি থাকার পাঠ দিল হাতেকলমে।

Advertisement

আশুতোষ কলেজের প্রিন্সিপ্যাল মানস কবি বলেন, ‘‘এই ধরনের কর্মশালার ফলে হাতেকলমে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পায়। এখান থেকে শেখা কাজ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে’’।

‘সাস্টেইনেবল প্র্যাক্টিস’ কর্মশালা। ছবি: সংগৃহীত।

জোকার ভাষা ক্যাম্পাসেই আয়োজিত হয় সমগ্র কর্মশালার। ওই ক্যাম্পাসে আগে থেকেই মৎস্য চাষ, সোলার প্যানেল, ভেষজ উদ্যান রয়েছে। আশুতোষ কলেজের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান রিমা রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার মূলত ভেষজ উদ্ভিদের বাগানের প্রস্তুতি, জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ, সৌর বিদ্যুৎ উত্পাদন প্রক্রিয়া, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এবং মৎস্য চাষের খুঁটিনাটি পড়ুয়ারা শিখতে পেরেছে ওই কর্মশালার মধ্য দিয়ে। কর্মশালার নাম দেওয়া হয় ‘সাস্টেইনেবল প্র্যাক্টিস’।’’

Advertisement

উচ্চ শিক্ষা দফতরের নির্দেশ প্রায় দু’বছর আগে অনুযায়ী আশুতোষ কলেজে তৈরি হয় ‘হাব সেন্টার’। যেখানে কলেজের অধীনে আরও পিছিয়ে পড়া কিছু স্কুল এবং কলেজকে রাখা হয়। নব বালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকা বলেন, ‘‘এই ধরনের কর্মশালার খুব প্রয়োজন রয়েছে। শহরের কলেজগুলি অনেক সময়ের স্থান সংকুলানের জন্য টবে গাছ করে। কিন্তু এইভাবে হাতেকলমে শেখার সুযোগ খুব কম থাকে।’’

বছরে প্রায়ই ওই ‘হাব সেন্টার’-কে কেন্দ্র করে নানা কমিউনিটি কার্যকলাপের আয়োজন করে থাকে ভাষা ক্যাম্পাস। কলেজের আলাদা করে বিভাগ নয় প্রায় সমগ্র কলেজ থেকেই বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১০০ জন পড়ুয়ারা অংশ নিয়েছিলেন ওই কর্মশালায়। আশুতোষ কলেজের ‘এক্সটেনশন অ্যাকটিভিটি কমিটি, ‘হাব সেন্টার অব আশুতোষ কলেজ’, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, বি. ভোক, পদার্থবিদ্যা বিভাগ, ভূগোল বিভাগ, বাংলা বিভাইন্ডাসট্রিয়াল ফিশ এন্ড ফিসারিজ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ গুনমান নিশ্চিতকরণ সেলের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় ওই কর্মশালার।

শুধু যে পড়ুয়ারাই হাতে কলমে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন এমনটা না, এই ধরনের কর্মশালার মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও অনেক কিছু শিখতে পারেন বলেই মনে করছেন শ্যামাপ্রসাদ কলেজের এক অধ্যাপিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement