প্রতীকী চিত্র।
জুন মাসের ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট)-এর জন্য রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ আরও কিছুটা বাড়ানো হল। শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সে কথা জানাল জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা (এনটিএ)। তাই, আরও কিছু দিন ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ১০ মে থেকে থেকে বাড়িয়ে ১৫ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ২০ এপ্রিল থেকে। সেই মতো অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের জন্য বরাদ্দ মূল্য জমা দেওয়ার সময়ও পরিবর্তন করে ১৬ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত করা হয়েছে। যা আগে ছিল ১১ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। এর পর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে কোনও ভুল থাকলে তা সংশোধন করার জন্য ১৮ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। যার জন্য আগে ১৩ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সময় ধার্য করা হয়েছিল।
পরীক্ষায় আবেদনের জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রথমে ugcnet.nta.ac.in ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এর পর ওয়েবসাইটের ‘হোমপেজ’ থেকে ‘ইউজিসি নেট ২০২৪’-এর লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। সেখানে ‘নিউ ক্যান্ডিডেট রেজিস্টার হিয়ার’ লেখার উপর ক্লিক করে সমস্ত নথি এবং তথ্য সহযোগে অনলাইন আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, অসংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া এবং অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত এবং তফসিলি জাতি, উপজাতি, বিশেষ ভাবে সক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের যথাক্রমে ১,১৫০, ৬০০ এবং ৩২৫ টাকা আবেদনমূল্য জমা দিতে হবে। সবশেষে, ‘কনফার্মেশন পেজ’টি ডাউনলোড করে নিজেদের কাছে রেখে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই জুন ও ডিসেম্বর মাসে ইউজিসি নেট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকে জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা (এনটিএ)। এটি ‘জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ’ প্রদান এবং দেশের বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর’ নিয়োগের জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা। এ বছর জুন পর্বের ইউজিসি নেট হওয়ার কথা ছিল আগামী ১৬ জুন। তবে গত মাসের শেষে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় বিশেষ কারণবশত পরীক্ষার দিন পিছিয়ে ১৮ জুন করা হবে। দেশের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে ওই দিন ‘ওএমআর’ শিটের মাধ্যমে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এ বছর যাঁরা নয়া ব্যবস্থায় চার বছরের ব্যচেলর্স ডিগ্রি প্রোগ্রামের চূড়ান্ত বর্ষ বা সেমেস্টারে পাঠরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন।