সংগৃহীত চিত্র।
চলতি বছর থেকে রাজ্যের কলেজগুলিতে অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির ঘোষণা আগেই করেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। তবে এই কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় বাদ রইল স্বশাসিত এবং সংখ্যালঘু কলেজগুলি।
এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়েছে চলতি মাসের ৮ তারিখ। যে সমস্ত কলেজগুলি কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় থাকছে না, তারা নিজেদের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি চালু করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজ, সেন্ট পলস কলেজ, উইমেন্স খ্রিস্টান কলেজ ও শ্রীরামপুর কলেজ। সবক’টিই খ্রিস্টান সংখ্যালঘু কলেজ। এ ছাড়াও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, শ্রী শিক্ষায়তন, ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি, বেলুড় বিদ্যামন্দির, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ নিজেদের মতো করে কলেজ-ভিত্তিক পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষা মধুমঞ্জরী মণ্ডল বলেন, “আমাদের প্রথম থেকেই আলাদা রাখা হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে। কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির ক্ষেত্রে যখনই কোনও বৈঠক হয়েছে, সেখানে আমাদের ডাকা হয়নি। তাই প্রত্যেক বারের মতো এ বছরও আমরা উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পরে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি।”
স্কটিশ চার্চ কলেজের এক শিক্ষক জানান, এই মুহূর্তে ২২টি বিষয় পড়ানো হয় কলেজে। বি-কম, বিবিএ, বিএড এবং কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয় স্নাতক স্তরে। স্নাতকোত্তরে উদ্ভিদবিদ্যা ও রসায়নও পড়ানো হয়ে থাকে।
তবে কেন্দ্রীয় ভাবে কলেজে ভর্তির পোর্টাল কবে থেকে চালু হবে, তা নিয়ে শুক্রবার রাত পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বিকাশ ভবন সূত্রের খবর। দফতরের এক আধিকারিক জানান, লোকসভা নির্বাচনের জন্য আদর্শ আচরণবিধি চালু আছে। কবে থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে পোর্টাল চালু হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্রুতই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।