প্রতীকী ছবি।
স্নাতকস্তরে মলিকিউলার বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান বহু পড়ুয়াই। দ্বাদশ শ্রেণির পর কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এই বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে? কিংবা ভবিষ্যতে এই বিষয় নিয়ে পড়াশোনার পর পেশায় প্রবেশে সুযোগ কেমন? সমস্ত তথ্য রইল বিশদে।
স্নাতকস্তরের পড়াশোনা:
যে সমস্ত পড়ুয়া দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে যদি রসায়ন, জীববিদ্যা এবংপদার্থবিদ্যা নিয়ে থাকেন, তাঁরা স্নাতক স্তরে মলিকিউলার বায়োলজি নিয়ে পড়তেপারেন। পাস সাবজেক্টে রসায়ন, জীববিদ্যা, পদার্থবিদ্যা এবং বায়োটেকনোলজি থাকলে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
পিএইচডি:
পরবর্তী কালে মলিকিউলার বায়োলজি নিয়ে পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে। তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট(নেট), স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট (সেট), গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউট টেস্ট (গেট),মাস্টার অফ ফিলোজফি (এমফিল), ইউজিসি/সিএসআইআর (জুনিয়র রিসার্চফেলো)— এই সমস্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে পিএইচডি-র জন্য ভর্তি নেওয়া হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
স্নাতকস্তরে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি পড়ানো হয়ে থাকে, সেগুলি হল:
১. সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেন
২. আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ
৩. কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়
৪. মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (ম্যাকাউট)
৫. কল্যাণী মহাবিদ্যালয়
৬. ব্রহ্মানন্দ কেশব চন্দ্র কলেজ
৭. সুরেন্দ্রনাথ কলেজ
৮. দমদম মতিঝিল কলেজ
৯. ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়্গপুর
১০. ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড এগ্রিকালচার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
স্নাতকোত্তর স্তরে এই বিষয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়ে থাকে।
চাকরি:
সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিসেস-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় মলিকিউলার বায়োলজির ছাত্রছাত্রীরা বসার সুযোগ পান। এর পাশাপাশি, কৃষি, চিকিৎসা, পশুপালনের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় কাজ করার সুযোগ থাকে। এই ধরনের চাকরির পাশাপাশি পড়ুয়ারা গবেষণা, শিক্ষকতাও বেছে নিতে পারেন।