প্রতীকী ছবি
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) হল ভারতের অন্যতম প্রধান তদন্তকারী সংস্থা। বিভিন্ন বড় অপরাধের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা এই বিভাগের মূল কাজ। সিবিআই অফিসার হওয়ার জন্য কী যোগ্যতা প্রয়োজন, কীভাবে পাওয়া যায় এই চাকরি, সেই সব বিস্তারিত আলোচনা করা হল এই প্রতিবেদনে। এক জন সিবিআই অফিসারের কাজ হল বড় দুর্নীতি, বিশেষ অপরাধ,জালিয়াতি এবং আর্থিক অপরাধের ঘটনার সমাধান করা।
এসএসসি (স্টাফ সিলেকশন কমিশন) সিজিএল পরীক্ষা দিয়ে সিবিআইয়ের যে সব পদে নিযুক্ত হওয়া যায় সেগুলি হল:
ইন্সপেক্টর,
সাব-ইন্সপেক্টর,
সহকারী সাব-ইন্সপেক্টর,
হেড কনস্টেবল এবং কনস্টেবল।
যোগ্যতা
প্রার্থীকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নূন্যতম ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক পাশ করতে হবে। সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়ঃসীমা ধার্য থাকে। এসসি, এসটি-র ক্ষেত্রে ৫ বছর ছাড় থাকে, এবং ওবিসি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩ বছর ছাড় থাকে।
সিবিআইয়ে চাকরি পেতে গেলে প্রার্থীকে অবশ্যই শারীরিক মাপকাঠির (পিএমটি)এবং দক্ষতার (পিইটি) পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
পুরুষ প্রার্থীদের উচ্চতা ১৬৫ সেন্টিমিটার প্রয়োজন এবং মহিলা প্রার্থীদের উচ্চতা ১৫০ সেন্টিমিটার প্রয়োজন।
এ ছাড়াও যে বিষয়গুলির উপর দক্ষতা থাকতে হয়:
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তিনটি উপায়ে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করে। বিভাগীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, এসএসসি (স্টাফ সিলেকশন কমিশন) সিজিএল পরীক্ষা, এবং ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষা। এসএসসি সিজিএল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনে (সিবিআই) সাব ইন্সপেক্টর বা গ্রেড-বি এবং গ্রেড-সি অফিসার হওয়া যায়। স্টাফ সিলেকশন কমিশন চারটি স্তরে এসএসসি সিজিএল পরীক্ষার আয়োজন করে থাকে।
প্রথম স্তর: অনলাইনের মাধ্যমে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১০০টি প্রশ্ন থাকে। সঠিক উত্তরের জন্য ২ নম্বর করে ধার্য থাকে এবং প্রতি ভুল উত্তরে ০.৫০ নম্বর কাটা হয়। সময়সীমা ১ ঘণ্টা ধার্য থাকে। মূলত চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা হয়। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা এবং যুক্তি, সাধারণ সচেতনতা, পরিমাণগত যোগ্যতা এবং ইংরেজি।
দ্বিতীয় স্তর: এই পরীক্ষাও অনলাইনের মাধ্যমে হয়। এ ক্ষেত্রেও চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা হয়। পরিমাণগত ক্ষমতা, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, সাধারণ শিক্ষা। মোট সময়সীমা থাকে ২ ঘন্টা।
তৃতীয় স্তর: এই স্তরের পরীক্ষা সম্পূর্ণ ভাবে অফলাইনের মাধ্যমে হয়। একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা নেওয়া হয়। সাধারণত, প্রবন্ধ, আবেদন, চিঠি ইত্যাদি লিখতে হয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। মোট সময়সীমা ধার্য থাকে ১ ঘণ্টা।চতুর্থ স্তর: এই পর্যায়ে সম্পূর্ণ ভাবে কম্পিউটারের উপর প্রার্থীর কতটা দক্ষতা রয়েছে তা পর্যালোচনা করা হয়।
সাক্ষাৎকার: যে সকল প্রার্থী সিবিআই বিভাগে সাব ইন্সপেক্টর পদের জন্য আবেদন করবেন, তাঁদের উপরের চারটি স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে প্রথমে। এর পর মেধার ভিত্তিতে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। এই পর্যায়ে প্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এই ধাপে উত্তীর্ণ হতে পারলে মেধার ভিত্তিতে সাব- ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ পেতে পারেন একজন প্রার্থী।
বেতন: সাধারণত পদ অনুয়ায়ী বেতন ধার্য থাকে।