সংগৃহীত চিত্র।
একাদশের সিমেস্টারের প্রশ্নপত্রেও আরজি কর প্রসঙ্গ। ক্ষুব্ধ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ঝাটুলাল হাইস্কুলের কাছ থেকে জবাব তলব করতে পারে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “প্রশ্নপত্রে আরজি কর প্রসঙ্গ টেনে আনা ঘটনা দুঃখজনক ঘটনা। যে প্রেক্ষিতে এই প্রশ্ন করা হয়েছে তার সঙ্গে এই বিষয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। কেন এই ধরনের প্রশ্ন করা হল তা আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনে স্কুলের কাছে জবাব চাইতে পারি। শিক্ষা সংসদ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং কোনও ভাবেই সমর্থন করছে না।”
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে ৭০০০-এর মতো স্কুল রয়েছে। একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টারের কোথাও কোনও পরীক্ষাকে কেন্দ্র অভিযোগ সামনে আসেনি। একটি মাত্র স্কুলের প্রশ্নকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিক জানান, একাদশ শ্রেণির প্রশ্নপত্র তৈরি করার দায়িত্ব স্কুলগুলিকে দেওয়া হয়েছে। এমনকি সিমেস্টার ওয়ান-এ কেউ যদি পরীক্ষায় না বসে বা অকৃতকার্য হয়, তারা দ্বিতীয় সিমেস্টার পরীক্ষা দিতে পারবে। সেই সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্নও স্কুল করবে। তাই স্কুলগুলিকে প্রশ্ন করার সময় বিতর্কিত বিষয় নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ঝাটুলাল হাই স্কুলের একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর। ৪০ নম্বরের এই পরীক্ষার পুরোটাই ছিল এমসিকিউ। এবং তার পাঁচ নম্বর পেজের প্রশ্নটি ছিল শিক্ষার অধিকার আইন সংক্রান্ত। তার আগে লেখা, ‘‘শিক্ষা আমার মৌলিক অধিকার। আমি ‘অভয়া।’ অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার। আমায় মেডিকেল কলেজের মধ্যে পাশবিক অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। আমার সঠিক বিচার হোক। উপরে বর্ণিত শিক্ষার অধিকারটি সংবিধানের কোন ধারায় আছে?’’ এরপর উত্তর দেওয়ার জন্য চারটি অপশন দেওয়া হয়েছিল, আর এই প্রশ্ন নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
প্রশ্ন উঠছে একমাস আগেই বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নপত্র স্কুলে জমা দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র পেলে তা ছাপানো হয়। যে ঘটনা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ এবং বিচারাধীন, তা নিয়ে এমন সিদ্ধান্তমূলক বাক্য লেখা অনুমতি কে বা কারা দিল?