সংগৃহীত চিত্র।
রাজ্য সরকার পোষিত বেসরকারি স্কুলগুলিকে বিনামূল্যে বই সরবরাহের সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। এমনটাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব সুব্রত ঘোষ বলেন, “প্রান্তিক এলাকায় বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা কম। আর্থিক ভাবে যে স্কুলগুলি স্বচ্ছল নয়, তাদের জন্য বইয়ের ব্যবস্থা করছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আর অন্যান্য বেসরকারি স্কুল যারা বোর্ডের অধীনস্থ, তারা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে বই কিনতে পারবে।”
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অধীনস্থ বেসরকারি স্কুল বেশ কয়েকটি থাকলেও, সেখানে পড়ুয়া সংখ্যা কম। আর্থিক ভাবে সচ্ছল নয়, এমন বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ রয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। বইয়ের অভাবে পড়াশোনায় ছেদ রুখতে এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। আবেদনের ভিত্তিতে এই সমস্ত স্কুলগুলিকে বিনামূল্যে বই দেওয়া হবে বলে পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, “রাজ্যের স্কুলগুলি যখন শিক্ষকপদ শূন্য, পরিকাঠামোগত দীনতা-সহ নানা সমস্যায় ভুগছে। তখন এ ভাবে বেসরকারি বিদ্যালয়কে সাহায্য করা সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারি বদান্যতায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। রাজ্য সরকারের উচিত ওই সমস্ত প্রান্তিক এলাকায় সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো”
এ প্রসঙ্গে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন,“এই উদ্যোগ যেমন স্বাগত, পাশাপাশি পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে পাঠ্যবইয়ের দাম যথাসাধ্য কমানো উচিত।”