জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ হিসেবে এই ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কটি চালু করা হচ্ছে। সংগৃহীত ছবি
বুধবার ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে জনসাধারণের মতামত নেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কটি পড়াশুনো ও বৃত্তিমূলক ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে দু'টির মধ্যে আরও স্বচ্ছন্দে বিচরণের সুযোগ তৈরি করতে চাইছে।
জাতীয় শিক্ষানীতির অংশ হিসেবে এই ন্যাশনাল ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কটি চালু করা হচ্ছে। স্কুল ও উচ্চশিক্ষার সঙ্গে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও পরীক্ষামূলক শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে নানা সুযোগ তৈরির জন্যই এই ফ্রেমওয়ার্কটি চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফ্রেমওয়ার্কটি চালু হলে মূলধারার অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা আবারও শিক্ষার সুযোগ পাবে।
জনসাধারণের কাছে এই ফ্রেমওয়ার্কটির খসড়া পেশ করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান একে দূরদর্শী ও বহুমাত্রিক একটি প্রস্তাবনা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
প্রধান বলেন, এই ফ্রেমওয়ার্কটি শিক্ষাক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রের মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, দক্ষতার উন্নতি ঘটিয়ে, মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি প্রাপ্তির ব্যবস্থা করবে ।
এই ফ্রেমওয়ার্কের ব্যাপারে জনগণের মতামত জানার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলির নিজস্ব ওয়েবসাইটকে প্রস্তুত রাখতেও বলেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।
ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কটি সকলের স্কুল শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ক্রেডিটের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবে।
এ ছাড়াও, মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করবে এই ফ্রেমওয়ার্কটি।
এটি চালু হলে শিক্ষার্থীরা যে কোনও কোর্সই তাঁদের পছন্দসই সময়সীমা মেনে করতে পারবেন। এর ফলে কোনও কোর্স করতে করতে অন্য কোনও চাকরিতেও যুক্ত হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এই ফ্রেমওয়ার্কটির আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, এটি চালু হলে কলাবিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ, সমাজ বিজ্ঞান ও বাণিজ্যবিভাগের মধ্যে কোনও বিশেষ বিভেদ থাকবে না।