প্রতীকী ছবি।
এলন মাস্ক টুইটার ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে একগুচ্ছ নিয়ম লাগু করেছেন। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের রমরমায় বাড়ির ছোট ছোট সমস্যারও চটজলদি সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে চলেছে সাইবার ক্রাইম। ইন্টারনেটে আপনার তথ্য সুরক্ষিত আছে বলে ভেবে নিচ্ছেন, সেই তথ্যই পাচার হয়ে যাচ্ছে ডার্ক ওয়েব দুনিয়ায়।
এই সমস্যা রুখতে ভারতে মাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু হয়েছে সাইবার সুরক্ষা বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা, যাতে পড়ুয়ারা প্রাথমিক স্তর থেকেই সতর্ক থাকতে পারেন। এ বার সময়ের চাহিদায় এই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা, বেড়েছে আগ্রহ। অনেকেই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরেও এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। তাঁরা কী ভাবে পড়াশোনা করবেন, কোন বিষয়গুলির জ্ঞান তাঁদের ক্ষেত্রে আবশ্যক, তাঁদের কোন কোন বিষয়ে আগ্রহ এবং দক্ষতা থাকা দরকার এবং সর্বোপরি পেশাদার জীবনে প্রবেশের সুযোগ কেমন, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে রইল বিস্তারিত তথ্য।
কারা পড়তে পারবেন এই বিষয় নিয়ে?
উচ্চমাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়টি কিছু কিছু স্কুল বোর্ডে পড়ানো হয়ে থাকে অ্যাডিশনাল বিষয় হিসেবে। এছাড়াও যাঁরা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী, যাঁদের অঙ্ক, রসায়ন এবং পদার্থবিদ্যা রয়েছে দ্বাদশ শ্রেণিতে, তাঁরা পরবর্তীকালে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
কোন কোন প্রতিষ্ঠানে মিলবে পড়ার সুযোগ?
দেশের বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই বিষয়টি স্নাতক এবংস্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন আগ্রহী পড়ুয়ারা। পাশাপাশি, সরকার অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও এই বিষয়টি ব্যাচেলর ইন সায়েন্স, ব্যাচেলর ইন টেকনোলজি, মাস্টার ইন সায়েন্স, মাস্টার ইন টেকনোলজি ডিগ্রির আওতায় পড়ানো হয়ে থাকে।
কোনও কোর্স করার সুযোগ কী রয়েছে?
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি, ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম ট্রেনিং সেন্টার, ন্যাশনাল পাওয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের তরফে ৬ থেকে ১২ মাসের সার্টিফিকেশন কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।
কাজের সুযোগ কেমন?
ডার্ক ওয়েবকে রুখতে নিয়মিত ভাবে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সাইবার সুরক্ষা আধিকারিকদের নিয়োগ করা হয়। এর পাশাপাশি, সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার, সাইবার সিকিউরিটি আর্কিটেক্ট, সাইবার সিকিউরিটি ইঞ্জিনিয়ার, ইনফরমেশন সিকিউরিটি লিডের মতো পেশাতেও নবীন স্নাতক এবংস্নাতকোত্তরদের কাজের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি, বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে শিক্ষানবিশির সুযোগ পাওয়া যায় সার্টিফিকেশন কোর্সের সাহায্যে।
বেতন:
তথ্য সুরক্ষিত রাখা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ অঙ্কের বেতনক্রম পাওয়ার সুযোগ যেমন রয়েছে, তেমনই পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পে থাকে কাজের সুযোগও।
তাই তথ্য সুরক্ষিত রাখতে এবং সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি আগ্রহ থাকলে সাইবার সুরক্ষা নিয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্বে পড়াশোনার বিষয় হতেই পারে। এতে পেশাদার জীবন আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।