প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসই, এবং আইএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষিত হয়েছে। বহু পড়ুয়ারাই সেই ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের একটি প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষার পোশাকি নাম কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট বা কুয়েট।
কারা দিতে পারেন এই পরীক্ষা?
যে সমস্ত পড়ুয়ারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা ডিপ্লোমা করতে চান, তাঁদের এই প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে।
কোথায় পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়?
ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধীনে থাকা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায় এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে।
কী ভাবে নেওয়া হয় এই পরীক্ষা?
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তি হওয়ার আবেদন জানানোর পর এই প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় পড়ুয়াদের। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন সম্পূর্ণ হয় এবং পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পান আগ্রহী শিক্ষার্থীরা।
কী ধরনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়?
প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চনের পাশাপাশি, বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন থাকে। একইসঙ্গে সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান বিষয়ের থেকেও প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয় পড়ুয়াদের।
কী সুবিধা পাওয়া যায়?
এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া মানেই ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও জটিলতা থাকে না পড়ুয়াদের। একইসঙ্গে, সমস্ত পরীক্ষার্থীদের একই পরিমাপকের ভিত্তিতে নম্বর দেওয়ার কারণে পরীক্ষার ফলাফল উচ্চমানের হয়ে থাকে। এছাড়াও প্রতিটি কলেজে যেহেতু শিক্ষার্থীদের আলাদা করে পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না, এই একটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পছন্দের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ থাকছে তাঁদের কাছে।
তবে কুয়েট অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে ভর্তির নিয়মাবলি আলাদা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখা প্রয়োজন রয়েছে।
তবে এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পড়ুয়াদের নিয়মিত অধ্যবসায় এবং পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রাখলে পছন্দের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে যাবে তাঁদের জন্য।