উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছেন অভিষেক গুপ্ত। নিজস্ব চিত্র।
বইয়ে মুখ গুঁজে পড়াশোনা করার বিষয়ে একেবারেই বিশ্বাস রাখেন না উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় অভিষেক গুপ্ত। মালদহের কৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা অভিষেক রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের বিজ্ঞান শাখার ছাত্র। তিনি দিনে সাত-আট ঘণ্টা নিজের মর্জি মতো পড়াশোনা করতেন। পাশাপাশি, গল্পের বই, শিক্ষামূলক ভিডিয়ো দেখার অভ্যাস ছিল।
পড়াশোনার সঙ্গে খেলাধূলাতেও আগ্রহী অভিষেক। তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এবং প্রিয় ফুটবলার সন হিউং-ম্যান। পড়ার চাপের কারণে খেলাধূলা বাদ পড়ে গেলেও খেলার খবরটুকু রাখতে চেষ্টা করেন তিনি।
মা অনামিকা সাহা গুপ্ত ছেলের সাফল্যে ভীষণ খুশি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “খুবই ভাল লাগছে। নিজের পরিশ্রমের ফল ও পেয়েছে। আমরা কখনও ওকে জোর করিনি কোনও কিছুর জন্য। নিজের সময় মতো পড়াশোনা করত। খুব ভোরে উঠত, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও পড়ত। আমি নিজে কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পেতাম, তত ক্ষণ ওর সঙ্গে থাকতাম।”
প্রসঙ্গত, সে সদ্যই ইঞ্জিনিয়ার জেইই মেনস উত্তীর্ণ হয়েছে, পেয়েছে ৯৯.৬৬ পার্সেন্টাইল। বাবা শিবশান্ত গুপ্ত, পেশা মেডিক্যাল ট্রান্সস্ক্রিপশন। তিনি বলেন,“ আমাদের আশা ছিল, প্রথম দশে ও থাকবে। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও ভাল ফল করবে। তাই আনন্দ তো হচ্ছেই। পাশাপাশি, স্কুলের মহারাজও ডেকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের সাহায্য ছাড়া এই ফলাফল হওয়া সম্ভব ছিল না।”
মায়ের সঙ্গে অভিষেক। নিজস্ব চিত্র।
অভিষেকের পরের লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং। তাই একাধিক সর্বভারতীয় পরীক্ষা তিনি দেবেন। তার প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। তবে আপাতত কিছু ক্ষণের জন্য পরিবারের সঙ্গে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নেওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে চান তিনি।