উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন অভীক দাস। ছবি: সংগৃহীত।
উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন অভীক দাস। তিনি আলিপুরদুয়ারের ম্যাক উইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়া। এ বারের পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬ (৯৯.২ শতাংশ)। ভবিষ্যতে তিনি অ্যাস্ট্রোফিজ়িক্স নিয়ে পড়ে বিজ্ঞানী হতে চান। কারণ মহাকাশের বিষয়ে তাঁর অগাধ আগ্রহ রয়েছে। পাঠ্যবই তো বটেই, পাশাপাশি, নিয়মিত ভাবে মকটেস্ট দেওয়া এবং টেস্ট পেপার সলভ করার অভ্যাস ছিল অভীকের। তাঁর মতে, “মুখস্থ করে পড়ে কোনও লাভ নেই। যে কোন বিষয়ে সড়গড় হতে হলে বই খুঁটিয়ে পড়তেই হবে। তাতেই লুকিয়ে রয়েছে ভাল নম্বর পাওয়ার রহস্য।”
অভীক আলিপুরদুয়ারের পূর্ব অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা। তার বাবা প্রবীরকুমার দাস ছেলের সাফল্যে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “খুব ভাল লাগছে। প্রথম পাঁচে থাকবে আশা ছিল, তবে যে প্রথম হবে, এটা আশা করিনি। ইতিমধ্যেই ও জয়েন্ট দিয়েছে। সর্বভারতীয় স্তরের অন্যান্য পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।”
স্কুলের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক সুধাংশু বিশ্বাস বলেন, “ভীষণ ভাল লাগছে। মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিল। ও ক্লাসে বরাবর ভাল ছাত্র হিসাবে পরিচিত ছিল। পাশাপাশি, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রথম হত। বিভিন্ন বিতর্ক ও কুইজ়েও নিয়মিত অংশ নিত এবং সফল হত।”
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ১৬ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয়েছে ২৯ ফেব্রুয়ারি। মোট ৬০টি বিষয়ে মূল্যায়ন হয়েছে, ৬টি ভাষায় উত্তর লিখতে পেরেছে পরীক্ষার্থীরা। ৬৯ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষা দিয়েছে ৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪৪৮ জন। উত্তীর্ণ ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৮৪ জন। মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করায় ৪১ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। অসম্পূর্ণ ফল রয়েছে ৪ জনের।
৮ মে বিকেল ৩টে থেকে শিক্ষা সংসদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে https://wbresults.nic.in/ সরাসরি রেজ়াল্ট দেখা যাবে। মোট ৫৫টি বিতরণকেন্দ্র থেকে আগামী ১০ মে সকাল ১০টা থেকে মার্কশিট এবং শংসাপত্র স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে। একই দিনে স্কুলের তরফে পড়ুয়াদের হাতে সেই মার্কশিট এবং শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। এ বছর থেকে মার্কশিটে নম্বরের পাশাপাশি, পার্সেন্টাইলও উল্লেখ করা থাকবে।