সংগৃহীত চিত্র।
শেষ হল উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিং। ৮,৭৪৯ জনকে নিয়ে প্রথম পর্বের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। তার মধ্যে থেকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল ৬৫৮ জনকে। যার মধ্যে অনুপস্থিত রইল ১৪৭ জন এবং কাউন্সেলিংয়ে এসেও অনুমোদন পত্র নিল না দু’জন। মোট উপস্থিত ছিল ৫০৯ জন।
দুর্গাপুজোর আগে ৩ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ছ'দিন কাউন্সেলিং হয়েছে । শতাংশ নিরিখে এই পর্যায়ে সাধারণ বিভাগে অনুমোদন পত্র গ্রহণ করেছে ২৮.৫৪ শতাংশ চাকরিপ্রার্থী।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমরা কাউন্সেলিং দ্রুত শুরু করেছি। প্রথম পর্বের কাউন্সেলিং সম্পন্ন হল। ৫০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী অনুমোদন পত্র গ্রহণ করেছে। ১১ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং শুরু হবে, যেখানে বাদবাকি সকলকেই ডাকা হবে।”
প্রসঙ্গত, ২৫ অক্টোবর আরবি বিভাগে ১৫০ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল তার মধ্যে চার জন অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু ওবিসি এ-তে মাল্টিপল তালিকা অনুযায়ী ৫২টি পদ ফাঁকা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ের সময়ে মাল্টিপল তালিকা থেকে বহু সংখ্যক প্রার্থী ডাক পাবে বলে আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ-এর সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “ধারাবাহিক ভাবে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং করতে হবে, যাতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত ভাবে প্রার্থীরা কাজে যোগ দিতে পারে। ডিভিশন বেঞ্চ এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে।”
আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত, মাঝে শনি-রবি বাদ দিয়ে প্রত্যেক দিন কাউন্সেলিং চলবে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর, দু’দিন বন্ধ থাকছে এই প্রক্রিয়া।