ক্লাইভের অত্যাচার আজ জাতির অভিশাপ
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের উত্তপ্ত আবহে ওয়েলস-এর পোওয়িস কাসল-এর ক্লাইভ মিউজ়িয়ামের ওয়েবসাইটে তড়িঘড়ি কিছু বদল আনা হল। প্রাসাদটি রবার্ট ক্লাইভ ও তাঁর ছেলে এডওয়ার্ডের ভারত থেকে আনা সামগ্রীর সংগ্রহশালা। হাজার খানেকেরও বেশি সংগ্রহের মধ্যে আছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাঠের কারুকাজ, সোনার পালকি। পলাশির যুদ্ধের পর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। আছে টিপু সুলতানের রঙিন ছিট কাপড়ের রাজকীয় তাঁবু, তাঁর স্বর্ণসিংহাসনের রত্নখচিত ব্যাঘ্রমুণ্ড। প্রাসাদের ওয়েবসাইটে লেখা ছিল, ক্লাইভ সাফল্যের সঙ্গে অভ্যুত্থান দমন ও বিশাল ধনরাশি সঞ্চয় করেন। ‘ন্যাশনাল ট্রাস্ট’ আগের এই বর্ণনা শুধরে লিখেছে, ক্লাইভ ও তাঁর ছেলের সংগ্রহের কিছুটা লুণ্ঠিত। প্রসঙ্গত, ১৭৬০ সালে ৩৫ বছরের ক্লাইভ ভারত থেকে তিন লাখ পাউন্ড সম্পত্তি নিয়ে ব্রিটেনে ফেরেন। ফের তিনি ভারত যান ও আবার বিশাল পরিমাণ সম্পদ নিয়ে দেশে আসেন। সম্পদশালী ক্লাইভকে অভিজাতবর্গে ও পার্লামেন্টে স্থান দেওয়া হয়।
ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, পোওয়িস প্রাসাদের সঙ্গে ইতিহাসের যন্ত্রণাময় অধ্যায়ের যোগ আছে। পুনর্কথনের ভাবনা চলছে। জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের ঐতিহাসিক স্থানগুলির সঙ্গে ঔপনিবেশিক অতীতও জড়িত। তাই স্থানগুলি রক্ষায় সংবেদনশীলতা জরুরি। নইলে ইতিহাসের লজ্জা আর বেদনা আমাদের মন ভেঙে দেবে।’’
মেদ ঝরাবেন জনসন
মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জেনেছেন, ওজন বেশি হলে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি। ব্যায়াম করে নিজে ছ’কেজি কমিয়েছেন। দেশের মানুষের মেদ ঝরাতেও সচেষ্ট তিনি। রেস্তরাঁ চেনগুলিকে প্রতিটি পদের পাশে ক্যালরির পরিমাণ ছাপতে বলেছেন। খাদ্যশস্য থেকে বিস্কুট, সব বাক্সে শর্করার হিসেব চেয়েছেন। জানিয়েছেন, বিদ্যুৎচালিত সাইকেল কিনতে সরকার নগদে ইনসেনটিভ দেবে, সাইকেল সারাতে ভাউচারও দেবে। কিন্তু ভাউচার বিতরণ শুরুর ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই উৎসাহীদের চাহিদায় ওয়েবসাইট ক্র্যাশ করেছে। রেস্তরাঁ মালিকদের বক্তব্য, প্লেট প্রতি ক্যালরি মাপার খরচায় তাঁরা অপারগ। সব মিলিয়ে, রোগা হওয়ার সরকারি উপায় নিয়ে জনসনকে আরও ভাবতে হবে বইকি।
সম্পদ: ক্লাইভ মিউজ়িয়ামে রয়েছে টিপু সুলতানের বহুমূল্য তাঁবু
আসল নকল
আ সুটেবল বয় পরিচালনার সময় একই দৃশ্যে একই ক্যামেরায় বডি ডাবল ব্যবহার শিখেছেন মীরা নায়ার। ছবিতে লতা মেহরার ভূমিকায় রয়েছেন তানিয়া মানিকতালা। তানিয়ার পা মচকেছিল, দাঁড়াতে পারছিলেন না। মীরা এক সহকারী পরিচালককে তাঁর বডি ডাবল করেন। কোনও কাট ছাড়াই, একই ফ্রেমে দু’জনকে ‘লতা’ চরিত্রে লেন্সবন্দি করেন। ‘লতা’-রূপী তানিয়া বসে আছেন, কিন্তু উঠে বিছানার অন্য পাশে গেলেন বডি ডাবল! মীরা চান, কোন দৃশ্যে এই কারসাজিটি রয়েছে, দর্শক খুঁজে বার করুন। বিক্রম শেঠের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই মিনিসিরিজ়’টি। ভারতে সিরিজ়টি আসছে এক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে, সেপ্টেম্বরে।
প্রতীক: নতুন ভাস্কর্য ‘দি এন্ড’
শেষের পৃথিবী
ট্রাফালগার স্কোয়ারের চতুর্থ স্তম্ভের নতুন দৈত্যাকৃতি ভাস্কর্যটির নাম ‘দি এন্ড’। এক দলা ক্রিমের উপরে বিশাল চেরি। তাতে মাছি বসে। পাশেই ক্যামেরা তাক করে আছে ড্রোন। নৈরাজ্যের সঙ্কেতবাহী ভাস্কর্যটির শিল্পী হেদার ফিলিপসন। ক্রিম দিয়ে বুঝিয়েছেন কোনও নরম, ভঙ্গুর বস্তু যা অচিরেই গলে যাবে। মাছি ক্ষয়ের দ্যোতক। ড্রোন শাসকের নজরদার প্রবণতার প্রতীক। চতুর্থ স্তম্ভে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সমসাময়িক ভাস্কর্য বসানো হয়। ‘দি এন্ড’ থাকবে ২০২২-এর বসন্ত পর্যন্ত।
২০২০-র শিকার
১৯৭২ থেকে ছাপা হচ্ছে আরগোস ক্যাটালগ। প্রতি বাড়িতে থাকত এই বেস্টসেলার। আরগোস দোকানে গয়না থেকে সুটকেস হয়ে সোফা পর্যন্ত যে বিচিত্র সম্ভার, তার সচিত্র বিবরণ থাকত ক্যাটালগে। বাচ্চারা দেখে মজাদার খেলনা জত। পণ্যতালিকাটি ছাপা বন্ধ হয়ে গেল, মিলবে শুধু অনলাইনে। কেউ বলছেন, শৈশবের প্রতি ঘোর অবিচার। কেউ বলছেন, ২০২০-র আর এক শিকার!