সম্পাদক সমীপেষু: যুক্তিবাদী বিদ্যাসাগর

সীতার পাতালপ্রবেশের মতো অবাস্তব ঘটনা তিনি সমর্থন করেননি। তাই পাতালপ্রবেশের বদলে, বিদ্যাসাগর লিখছেন, সীতা অপমান সহ্য না করতে পেরে, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:২৭
Share:

বিদ্যাসাগরের দ্বিশতজন্মবর্ষে তাঁর নানা দিক নিয়ে আলোচনা চলছে। তাঁর যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞানমনস্কতা নিয়ে আরও বেশি আলোচনা প্রয়োজন। কারণ এই দেশে এই মুহূর্তে যুক্তিবাদ প্রায়ই বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি বিদ্যাসাগরের ‘সীতার বনবাস’ পড়তে গিয়ে আরও বুঝতে পারলাম, তিনি কতটা যুক্তিবাদী ছিলেন। সীতার পাতালপ্রবেশের মতো অবাস্তব ঘটনা তিনি সমর্থন করেননি। তাই পাতালপ্রবেশের বদলে, বিদ্যাসাগর লিখছেন, সীতা অপমান সহ্য না করতে পেরে, মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন।

Advertisement

সামিম আখতার বানু

রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর

Advertisement

লোডিং-এর ঠেলা

আমি ৭২ বছরের বৃদ্ধ। বাজেশিবপুর অঞ্চলে পূর্বপুরুষের থেকে পাওয়া জমিতে ছোট বাড়িতে বসবাস করি। বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সিমেন্টের গোলা ৯৯৯ বৎসর লিজ় হিসেবে অনেক দিন রয়েছে। ইদানীং ওই গোলার ব্যবসা বেড়েছে। প্রতি দিন রাতে লরি থেকে লোডিং/আনলোডিং আমাদের মতো বয়স্ক মানুষদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। এই সময় আমার বাড়ি সিমেন্টের ধুলোয় অন্ধকার হয়ে আমাদের দমবন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, তা ছাড়া গোটা বাড়িটা কাঁপে। আমার নাতিরা এই ধুলোয় অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয়ে আর আসে না। বাড়ির কয়েক জায়গায় প্লাস্টার খসে গিয়েছে, বেশ কয়েক জায়গায় ক্র্যাক ধরেছে। এলাকাটি ঘন বসতিপূর্ণ এবং বিপদ বুঝে এই অঞ্চলের বিশিষ্ট বেশ কিছু মানুষেরা এ বিষয়ে যৌথ ভাবে তাঁদের লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন বেশ কয়েক বার। লাভ হয়নি।

প্রশান্ত কুমার দত্ত

শিবপুর, হাওড়া

নোয়াপাড়া মেট্রো

নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনটি দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সুবিধাযুক্ত। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থানটা প্রায় পাণ্ডববর্জিত স্থানের মতো। যোগাযোগের কোনও সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। কোনও দিক থেকেই মসৃণ ভাবে স্টেশনে পৌঁছনো যাবে না। অটো ছাড়া গতি নেই। রাস্তা এত অপরিসর যে বাস চালাবার কোনও উপায় নেই। বিশেষত দুটো রেলওয়ে ওভারব্রিজের নীচের রাস্তা আরও অপরিসর। পাশাপাশি দুটো গাড়িও যাওয়ার উপায় নেই। সারা বছর ব্রিজের নীচটা জলময় ও অস্বাস্থ্যকর। বিটি রোডের দিক থেকে টবিন রোড, বনহুগলি আর ডানলপ থেকে অটো সার্ভিস চালু আছে, তবে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই অটো সার্ভিস বন্ধ। দুটো ব্রিজের নীচেই বর্ষার সময় জল জমে যায়। অগত্যা জলমগ্ন রাস্তাটুকু অত্যধিক ভাড়া গুনে রিকশায় যেতে হবে। বনহুগলি আর ডানলপ থেকে রাস্তার অবস্থাও তথৈবচ। অজস্র গর্ত, অগুনতি বাম্প। মেট্রো কর্তৃপক্ষ দমদম থেকে সম্প্রসারণ করেই নিজেদের দায় সারলেন। এক বারের জন্য ভাবলেন না, মানুষ কী ভাবে যাতায়াত করবে। টালা ব্রিজের আংশিক বন্ধের কারণে আজকাল নোয়াপাড়া থেকে মেট্রোর যাত্রিসংখ্যা ভীষণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথাটা ভাবতে হবে না?

রবি শঙ্কর রায়

কলকাতা-৫৬

অ্যাম্বুল্যান্স নেই

জলচক গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বসবাস। আপৎকালীন চিকিৎসার জন্য যেতে হয় মেদিনীপুর বা তমলুক। জলচক থেকে মেদিনীপুরের দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। জলচক থেকে তমলুকের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। গত কয়েক বছর ধরে জলচক গ্রাম পঞ্চায়েতে অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও, পরিষেবা নেই বললেই চলে। বর্তমানে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে আর একটি শববাহী গাড়ি। সাধারণ মানুষের যে কোনও দুর্ঘটনা বা আকস্মিক রোগের ক্ষেত্রে প্রাইভেট গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে খোয়াতে হয় মোটা টাকা।

মহম্মদ মুদস্বর নজর

জলচক, পশ্চিম মেদিনীপুর

রেশন কার্ড

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে যে রেশন কার্ড রাজ্যবাসীকে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। ইতিমধ্যেই এক কোটি কার্ড সংশোধনের জন্য জমা পড়েছে। এই ত্রুটি সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবার কার্ডধারীদের উপরেই। অর্থাৎ অন্যের বোঝা নিজের কাঁধে চাপানোর মতো। আমি ৭৭ বছরের বৃদ্ধ মানুষ এবং অত্যন্ত অসুস্থ। এই অবস্থায় যা আমার ভুল নয়, তা সংশোধনের জন্য আমাকে দীর্ঘ পথ এবং দীর্ঘ লাইনের বাধা অতিক্রম করে সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। তার চেয়ে এই সংশোধনের কাজ নিজ নিজ এলাকার কর্পোরেশনের অফিসে করার ব্যবস্থা করলে হত না?

প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা-৩১

বাটা মোড়

‘বাটামোড়ের দুর্ঘটনায় মৃত আরও এক’ (২১-১১) সংবাদের প্রেক্ষিতে বলি, ২০১৫ সালে বাটানগর মোড় থেকে নয়াবস্তি পর্যন্ত ৭.৪ কিমি দীর্ঘ সেতু তৈরি শুরু হয় বজবজ ট্রাঙ্ক রোডের ওপর। দু’পাশে অবস্থিত বাড়ি ও দোকান ভাঙার জন্য ডাম্পার নিয়ে আসা হয় এবং রাস্তার দু’পাশে জল যাওয়ার ড্রেন তৈরি শুরু হয়। ফলে রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে ওঠে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দফায় দফায় রাস্তা খুঁড়ে ড্রিলিং ও পাইলিং চলে, বড় বড় ক্রেন ও ডাম্পার ব্যবহার করে কাজ হয় রাতদিন। এই তিন বছর হাজার হাজার অফিসযাত্রী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ যাত্রীরা নাজেহাল হতে থাকেন, রাস্তায় চলা বাসগুলো উধাও হতে থাকে। অনেকে রাস্তার দুর্ভোগের জন্য ট্রেনে যাতায়াত শুরু করেন। ফলে মাঝপথ থেকে ট্রেনে ওঠা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। অবস্থা এমন হয়, রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে বা সাইকেল বা মোটর সাইকেলে যেতে গিয়েও জীবনহানি ঘটে। অবশেষে এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উড়াল পুল চালু হয়। কিন্তু ব্রিজের নীচের পুরো রাস্তা ঠিক হয় না। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, এক মাসের মধ্যে ঠিক হবে। রাস্তায় কাজ হয়েছে, কিন্তু শেষ হয়নি, বেশ কিছু জায়গায় ছোটবড় গর্ত, রাস্তার ঢাল না থাকায় জল জমে থাকছে, অটো ও ছোট গাড়ি যেতে চায় না। লেন এত অপরিসর, পাশাপাশি দুটো গাড়ি যেতে পারে না, ফলে রেষারেষি লেগেই আছে। পুরো রাস্তায় আলো লাগানো হয়নি। ব্রিজটায় টোল চালু হলেও, পরে তা বন্ধ করা হয়। নজরদারির ব্যবস্থা ঠিকমতো না থাকায় গাড়িগুলো যথেচ্ছ ভাবে চলাচল করে। এই সবের ফলে দুর্ঘটনা হয়।

অসিত চক্রবর্তী

মহেশতলা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

রিপোর্টে সই

‘স্ট্যাম্প নয়, রিপোর্টে চাই ডাক্তারের সই’ (২১-১১) শীর্ষক খবরের প্রেক্ষিতে আর একটি তথ্য। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরিতে কোনও প্যাথলজিস্ট বা রেডিয়োলজিস্ট থাকেন না। টেকনোলজিস্টরা রিপোর্ট তৈরি করেন। চিকিৎসকগণ ওই সংস্থার ব্ল্যাঙ্ক প্যাডে চুক্তি মোতাবেক পূর্বেই সই করে দিয়ে যান। টেকনোলজিস্টরা তার উপরে রিপোর্ট লিখে বা টাইপ করে দেন। এই রিপোর্টেই অসহায় রোগীদের চিকিৎসা হয়।

রাসমোহন দত্ত

মসলন্দপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

গ্যালপিং

শিয়ালদহ মেন লাইনের আপ ও ডাউন দু’দিকেই সকাল ৯টা থেকে ৯:৩০টার মধ্যে শুধুমাত্র গ্যালপিং লোকাল থাকায়, মাঝের স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। ওই সময় অন্তত একটি করে হলেও অল স্টপ লোকাল ট্রেন থাকলে ভাল হয়।

জয়ী চৌধুরী

সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement