Narendra Modi

সম্পাদক সমীপেষু: ‘সেটিং’ কিসের?

মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা হোক, কিন্তু অমূলক ভাবে নয়। গঠনমূলক সমালোচনায় দেশ ও রাজ্যের মঙ্গল।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতায় আগমন উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে বৈঠককে, বিরোধীরা বলছেন ‘সেটিং’। এবং এই তত্ত্ব প্রয়োগ করে তাঁরা গলা ফাটাচ্ছেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে— এর মধ্যে অস্বাভাবিকতা কোথায়? জ্যোতি বসু তো উঠতে-বসতে কংগ্রেস দলটাকে ‘অসভ্য বর্বর’ বলে সম্বোধন করতেন। আবার ওই ‘অসভ্য বর্বর’ দলের নেত্রী ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে রাজ্য বা দেশের সমস্যা নিয়ে বৈঠকও করতেন। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা হোক, কিন্তু অমূলক ভাবে নয়। গঠনমূলক সমালোচনায় দেশ ও রাজ্যের মঙ্গল।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

উত্তর হাবড়া, উত্তর ২৪ পরগনা

Advertisement

রাস্তায় পাইপ

কামারহাটি পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নরেন্দ্রনগর একটা ছোট্ট জনপদ। আনুমানিক ৩০০০ মানুষের বসবাস। পাড়ার ঢোকার ও বেরোবার একটিই পথ। পথটি ভীষণ সরু, খোলা নর্দমাও আছে। পাড়ার পাশে বাগজোলা নিকাশি খাল, যা নিয়ে অধিবাসীদের নিত্য যন্ত্রণা। অল্প বৃষ্টিতেই পাড়া জলে থইথই। এমন একটা সমস্যাসঙ্কুল পাড়ার ভিতর দিয়ে কেএমডিএ, দক্ষিণ দমদম পুরসভার জন্য, ১০০০ মিমি ব্যাসের জলের পাইপ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এত বড় ব্যাসের পাইপ, এ দিকে রাস্তা মাত্র ১৪/১৬ ফুট চওড়া। এত ঘনবসতিপূর্ণ জনপদের ভিতর দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। খোঁড়ার জন্য যে বিপুল পরিমাণ কাদামাটি বোরোবে, তা ধারণ করার ক্ষমতা এই রাস্তার নেই। এ ছাড়াও রাস্তার দু’পাশের বাড়ি ও ঘরদোর ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

রবিশঙ্কর রায়

কলকাতা-৫৬

ট্রেন দেরিতে

বহু দিন ধরে তারকেশ্বর থেকে হাওড়া নিত্য যাত্রা করি। কিন্তু, গত বছর দুয়েক যাবৎ নির্ধারিত সময়ে ট্রেন হাওড়ায় ঢোকা কার্যত প্রহসন হয়ে দাঁড়িয়েছে। লেট আগেও হত, তবে এ রকম ধারাবাহিক ভাবে মাত্রাছাড়া নয়। যে-ট্রেন দশটা দুইয়ে হাওড়া ঢোকার কথা, সেই ট্রেন আগে মোটামুটি দশটা পাঁচ-দশের মধ্যে ঢুকত, অথচ তা এখন দশটা পঁচিশ বা তারও পর ঢোকে।

সঞ্জয় মণ্ডল

তারকেশ্বর, হুগলি

কলেজ কই?

২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতায় একটি কলেজের শিলান্যাস করেন তৎকালীন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরী। তার পর ন’বছর কেটে গেল। পাশে ভাগীরথী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেল। রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটল। কিন্তু এলাকার মানুষের কলেজের স্বপ্নটি আজও পূরণ হল না। এলাকায় একটি কলেজ হলে উচ্চশিক্ষার জন্য আর ছেলেমেয়েদের দূরদূরান্তে যেতে হবে না, এই আশায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে ১৯ বিঘা জমি সরকারকে হস্তান্তর করে দেন এলাকার জনগণ। তাঁদের আশা পূর্ণ হবে না?

মোহাম্মদ আবু সাঈদ

ভাবতা, মুর্শিদাবাদ

জানিয়ে দিলেই

গত ৩০-১২-২০১৯ তারিখে ময়না ব্লকের (পূর্ব মেদিনীপুর) এক সাব-পোস্ট অফিসে একটি পার্সেল পাঠাবার জন্য সকাল ১০টায় পৌঁছে জানতে পারলাম, ওই অফিসের পোস্টমাস্টার ওই দিন আসবেন না, পরিবর্তে অন্য এক পোস্টমাস্টার আসবেন। আমার মতো আরও অনেক গ্রাহক অপেক্ষা করতে লাগলেন। উনি পৌঁছলেন দুপুর পৌনে একটা নাগাদ। পৌঁছেই বললেন, ওঁর কাছে পাসওয়ার্ড নেই, তাই ওই দিন কোনও কাজ হবে না। এই কথাটা উনি তো আগেই মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিতে পারতেন, ওখানে থাকা দুই স্টাফকে। তা হলে আমরা সবাই অপেক্ষা না করে ফিরে যেতাম, হয়রানি হত না।

গৌরহরি দাস

নারিকেলদাহা, পূর্ব মেদিনীপুর

মানুষ আলাদা

‘কলা এবং মুলো?’ (১-১) এবং ‘আমও কিন্তু বহিরাগত’ (৮-১) শীর্ষক দু’টি চিঠির প্রেক্ষিতে বলি, কলা-মুলোর সঙ্গে মানুষের ঠিক মেলে না। কলামুলোরা যে দেশেই যাক, তারা তাদের স্বভাবধর্মে অতুলনীয় পরার্থপরতার মহান কাজ করে চলে। বিনিময়ে কিছু প্রত্যাশা করে না। তারা আন্দোলন করতে, সংগঠিত হতে জানে না। ধর্ম, সংস্কৃতি, জীবনচর্যার যথাযথ অনুশীলনের জন্য তারা আলাদা ভূখণ্ড দাবি করে না। যে দাবি মেটাতে গিয়ে লাখ লাখ বৃক্ষকে শিকড় ছেঁড়ার সান্ত্বনাহীন যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।

উজ্জ্বলকুমার মণ্ডল

শেওড়াফুলি, হুগলি

বঞ্চনার কথা

‘কোর্টে পুরো পেনশন আদায় চিকিৎসকের’ (২৫-১২) শীর্ষক খবরটি পড়ে প্রীত হলাম। শ্যামাপদবাবু উচ্চপদস্থ আধিকারিক, তাঁর জানাশোনার পরিধিও বিস্তৃত। তিনি প্রাপ্য আদায়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল পেরিয়ে উচ্চ ন্যায়ালয় অবধি পৌঁছতে পেরেছিলেন। কিন্তু এই ঘটনাটি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। অনেক আধিকারিকই ওই অবধি পৌঁছতে পারেন না। তাই তাঁদের উপর ঘটে চলা প্রতিহিংসাপরায়ণ অত্যাচার নীরবে মেনে নিতে বাধ্য হন। সরকারি প্রশাসনের প্রতি পদে এখন গা-জোয়ারি মনোভাবের বাড়বাড়ন্ত, সিদ্ধান্তগ্রহণে চূড়ান্ত অস্বচ্ছতা— প্রতিহিংসার ছায়ায় সর্বত্র এক দমবন্ধ পরিবেশ। আমার পরিচিত পশ্চিমবঙ্গ হিসাব ও নিরীক্ষা কৃত্যকের এক প্রবীণ সদস্য অবসরের পূর্বে দু’টি পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হলেন; তাঁর অপরাধ, অর্থ দফতর তাঁর বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন হারিয়ে ফেলেছেন; যার জন্য ওই আধিকারিক কোনও ভাবেই দায়ী নন। এবং এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; প্রশাসনে এমন উদাহরণ বিস্তর। আশা করি শ্যামাপদবাবুর প্রাপ্তি এই বঞ্চিতদের সাহস জোগাবে।

শ্যামল কর্মকার

কলকাতা-৪১

আ মরি

‘বাংলা মাধ্যম বন্ধ হচ্ছে পাঠভবনে, ক্ষুব্ধ বহু প্রাক্তনী’ (৩-১) শিরোনামে পরিবেশিত সংবাদটি সম্পর্কে এই চিঠি। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা জানিয়েছেন, অভিভাবকেরা চান না তাঁদের সন্তানেরা বাংলা মাধ্যমে পড়ুক। অভিভাবকেরা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শুধু ইংরাজি মাধ্যমেই তাদের পড়াতে চাইছেন। কেননা কর্মক্ষেত্রে বাংলার কোনও প্রয়োগ নেই। বাংলার বাইরে তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক সীমার মধ্যেও কর্মক্ষেত্রে বাংলা ভাষার কোনও জায়গা নেই। তা হলে শুধু আবেগের বশে ‘আ মরি বাংলা ভাষা’র টানে বাংলা শিখবে কে? এই যুগে প্রয়োজন ছাড়া কিছু চলে কি? অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, তবুও যদি রাজ্য সরকারের বাংলা ভাষার প্রতি দরদ এবং সদিচ্ছা থাকে, তা হলে সরকারি ভাবে সারা রাজ্যে বাংলা ভাষার প্রয়োগের জায়গা এখনও তৈরি করা যেতে পারে। কোর্টকাছারি-সহ রাজ্য সরকারি দফতরগুলিতে একমাত্র বাংলা ভাষাতেই কাজকর্ম চালু হোক। রাজ্যে অবস্থিত সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কার্যালয়গুলিতে বাংলা ভাষাকে কাজের ভাষা হিসাবে বাধ্যতামূলক ভাবে প্রতিষ্ঠা দিতে হবে। এ ছাড়া রাজ্যে অবস্থিত সমস্ত এয়ারলাইন্স-সহ সব বেসরকারি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করে দিতে হবে। এই ভাবে বাংলা ভাষার কার্যকারিতা তৈরি করা গেলে, লোকে নিজের প্রয়োজনে বাংলা শিখবে এবং বিদ্যালয়গুলিও বাংলা মাধ্যম চালু রাখবে।

অশেষ দাস

কলকাতা-১১০

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement