এঁরা আটকে পড়েছেন। ফিরতে চান বাড়িতে। -প্রতীকী ছবি।
চিঠি-১: বেঙ্গালুরুতে চাকরি খুঁজতে এসে আটকে পড়েছি, বোলপুরে ফেরান
আমার বাড়ি বোলপুরের শান্তিনিকেতনে। দু’মাস আগে বেঙ্গালুরুতে এসেছিলাম কাজের জন্য। কিন্তু চাকরিও পেলাম না। আর লকডাউনের জন্য বাড়িও ফিরতে পারিনি। এখন আমি একটা বন্ধুর বাড়িতে আছি। কিন্তু হাতে টাকাপয়সা বেশি নেই। প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তাই বলছি, যদি আমাকে বাড়ি ফেরানোর কোনও ব্যবস্থা করেন, তা হলে খুব ভাল হয়। আমাকে দয়া করে একটু সাহায্য করুন।
অনন্যা ভকত, মোবাইল- ৯৯০২১৯৯২৩৪, ইমেল- annybhakat@gmail.com
চিঠি-২: জনাপনেরো পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছি মধ্যপ্রদেশে, বাঁকুড়ায় ফিরতে চাই
আমরা ১৫/১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় মন্ডিদীপে কয়েকটি পরিবার-সহ আটকে রয়েছি। আমাদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায়। আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে করজোড়ে আবেদন জানাই। এখানে আমরা খুবই অসুবিধায় আছি।
তুষিত রায়, ইমেল- tushitkumarroy@gmail.com
চিঠি-৩: ২৫ জন আটকে পড়েছি উত্তরপ্রদেশে, টাকা শেষ
আমরা ২৫ জন উত্তরপ্রদেশের আগরা, ইটোরা, কুকুয়াতে আটকে রয়েছি। আমরা বাড়ি ফিরে যেতে চাই। আমাদের কাছে টাকাপয়সা কিছুই নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমাদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
সুদেশ কুমার সিংহ, মোবাইল-৬৩৯৬১৯৬৯১৮, ইমেল- yesrajsingh8349@gmail.com
চিঠি-৪: বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী, শিশুকন্যা নিয়ে আটকে পড়েছি, বাঁকুড়ায় ফেরান
আমি ১৮ মার্চ বেঙ্গালুরুতে পাইলসের চিকিৎসা করাতে এসেছিলাম। ১৯ তারিখ ডাক্তার দেখাই। ৫ দিন পর চেকআপের ডেট ছিল। আমার সঙ্গে আমার তিন বছরের মেয়ে আছে। আমার স্ত্রীও আছেন। আমরা সেই দিন থেকে আটকে আছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া শহর থেকে এসেছি। আমরা ফিরে যেতে চাই। কী ভাবে ফিরব, বুঝতে পারছি না। খুবই অসুবিধায় আছি। আমাদের সাহায্য করলে খুব ভাল হয়।
রাহুল বিশ্বাস, ফোন-৯৪৩৪৪৭৮৮৫৬
চিঠি-৫: ভেলোরে চিকিৎসা করাতে এসে টাকা শেষ, মহেশতলায় ফেরান
আমি আমার একমাত্র মেয়ের গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনের জন্য মহেশতলা থেকে গত ২০ ফেব্রয়ারি ভেলোরে এসেছিলাম। গত ২৬ মার্চ চিকিৎসা শেষ হতেই এই লাগাতার লকডাউন ঘোষণার কারণে সপরিবারে এখানের একটি লজে বন্দি হয়ে পড়েছি। প্রথম পর্যায়ে লকডাউন ঘোষণার পর এখানকার প্রশাসন থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভাড়া মকুব করার নোটিস দেওয়ার পরেও তা প্রত্যাহার করে পুনরায় ৫০ শতাংশ ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানি না, ৩ মে-র পর ভাড়ার হার কী ধার্য হবে? আমার কোনও এটিএম না থাকায় সঙ্গে আনা সীমিত অর্থে চিকিৎসার খরচ, ওষুধপত্র, লজের ভাড়া ও প্রতি দিনের খাওয়াদাওয়া চলছে। কিন্তু টাকা এ বার শেষ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ অভিযোগ তুলে মমতাকে ছ’পৃষ্ঠার চিঠি কৈলাসের, ওঁরা ঈর্ষান্বিত: পার্থ
আরও পড়ুন: লকডাউন উঠলে চালু হবে নিয়ন্ত্রিত বিমান পরিষেবা, দেওয়া হল এক গুচ্ছ নির্দেশিকা
এমতাবস্থায় দেশের প্রশাসনের কাছে কন্যার পিতার সকরুণ আবেদন, দয়া করে আপনারা লকডাউন জারি রেখেই বিশেষ ব্যবস্থায় সারা দেশে চিকিৎসার কারণে আসা মানুষদের শীঘ্রই সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং হোম কোয়রান্টিনের শর্তে রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিন। না হলে, আমার মতো আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষগুলির পক্ষে বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে এখান থেকে চিকিৎসারত প্রিয়জনকে নিয়ে ফেরাটা ভীষণ কঠিন ও দুরূহ ব্যাপার হয়ে উঠছে।
আশা করি, আপনারা আমার ও আমার মতো আর্থিক ভাবে দুর্বল মানুষগুলির কথা ভেবে খুব শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেবেন।
সুদীপ বিশ্বাস, মোবাইল- ৭৯৮০৯১৩০০৪, ইমেল-bsudip2013@gmail.com
চিঠি-৬: হরিয়ানায় আটকে পড়েছি, বর্ধমানে মা একা আছেন, ফিরতে চাই
হরিয়ানার বাহাদুরগড়ে আটকে পড়েছি। লকডাউনের জন্য। আমার বাড়ি বর্ধমানে। যে ভাবেই হোক তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চাই। বাড়িতে আমার মা একা আছেন। আমাকে দয়া করে জানাবেন, কার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমি বাড়ি ফিরতে পারি?
সব্যসাচী সামন্ত, মোবাইল-৯০০৪৪৯৮৯৬৭, ইমেল- samanta.s25005@gmail.com
চিঠি-৭: চেন্নাইয়ে চাকরি গিয়েছে, বেতনও পাইনি, বাংলায় ফিরতে চাই
আমার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। চেন্নাইয়ের একটি আইটি ফার্মে চাকরি করছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, গত দেড় মাস আমার কোনও কাজ নেই। আমার চাকরির শেষ মাসের বেতন এখনও পাইনি। লকডাউনের জন্য আমার পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। আমি এর মধ্যে অনেক বার বিমানের টিকিট বাতিল করেছি। কোনও বারেই টাকা ফেরত পাইনি। যে হস্টেলে থাকি, তা আর কয়েক দিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে। এখনই সেই হস্টেলে অল্প কয়েক জন আছেন। আমার বাবা গত বছরের ২৫ মে মারা যান। তাঁর বাৎসরিক কাজও আমাকে ছাড়া হবে না। দয়া করে, আমার পরিস্থিতিটা একটু বুঝুন আর আমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
অতনু সরকার, পোরুর, চেন্নাই, তামিলনাড়ু-৬০০১১৬, ইমেল- atanu.1986.04589@gmail.com
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)