সম্প্রতি দিল্লিতে এসে জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে হিন্দিতে করা সমস্ত প্রশ্নের জবাব তিনি দিলেন হিন্দিতেই। কী করে শিখলেন এত ভাল হিন্দি? এই প্রশ্নের চটজলদি জবাবও দিলেন, “মোদীকে দেখে হিন্দি শিখেছি! অমিত শাহকে দেখে গুজরাতিও ভাল হয়ে গিয়েছে আমার!” এই পরই তিনি হেসে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে বলেন, “কেম ছো?” অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল মহাদেব রোডে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে। সবশেষে ধন্যবাদজ্ঞাপক বক্তৃতাটি সুখেন্দুবাবু বাংলাতে শুরু করলে, মমতা তাঁকে মনে করিয়ে দিলেন, হিন্দিতে বলতে হবে। দ্রুত ভাষা বদল করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদকে।
মধ্যমণি: দিল্লি সফরে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা-চক্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংস্কারের তিন দশক
আর্থিক সংস্কারের ৩০ বছর পূর্ণ হল। কিন্তু তা নিয়ে সংসদে কোনও আলোচনাই হবে না? পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে সংসদের বাদল অধিবেশনে অচলাবস্থা। ফলে পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে না। এর মধ্যে আর আর্থিক সংস্কারের ৩০তম বর্ষপূর্তি নিয়ে কী ভাবে আলোচনা হবে? সবাই মেনে নিতে পারলেও কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ মেনে নিতে পারছেন না। ১৯৯১-এ পি ভি নরসিংহ রাও-মনমোহন সিংহ জুটির আর্থিক সংস্কারের সময় সরকারের অন্দর থেকে সাক্ষী ছিলেন তিনি। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি), তার পর অর্থ মন্ত্রকে কাজ করার সুবাদে। হট্টগোলের মধ্যেই তাই জয়রাম রাজ্যসভায় আর্থিক সংস্কারের ৩০ বছর নিয়ে আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জীবে প্রেম
কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস আর বোম্মাইয়ের ছেলে, তা এখন সকলেরই জানা। কিন্তু অনেকেরই জানা নেই, তিনি আদ্যোপান্ত পশুপ্রেমী। বাড়িতে পোষা কুকুর আছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সপ্তাহ কয়েক আগেই তাঁর একটি পোষা কুকুরের মৃত্যু হয়। পোষ্যের মৃতদেহের সামনে বোম্মাই, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে অঝোরে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। আত্মীয়বিয়োগের মতোই মৃত পোষ্যকে শেষ বিদায় জানানোর সময় আদর করতে করতে কাঁদছিলেন বোম্মাই। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ বার ‘আইডিয়া-ম্যান’
প্রায়ই পদযাত্রায় যেতেন বলে গুজরাতের রাজনীতিতে নাম ছিল ‘পদযাত্রা ম্যান’। কম কথা বলেন, ‘লো প্রোফাইল’-এ থাকেন, কাজ করেন বেশি। গুজরাত বিধানসভা ভোটে তাঁর নামও মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য তালিকায় ছিল। পশুচিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর মনসুখ মাণ্ডবিয়া মোদী সরকারের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় দফতরের বাইরে ‘আইডিয়া বক্স’ বসেছিল। এ বার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েও দফতরের বাইরে মনসুখ মন্ত্রকের কর্মীদের কাছে নতুন ভাবনা চেয়ে ‘আইডিয়া বক্স’ বসিয়েছেন।
দু’চাকার চক্করে
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুতেই পেট্রল-ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধিতে তৃণমূল সাংসদরা সাইকেলে চেপে সংসদে গিয়েছিলেন। এর পর কংগ্রেসের সাংসদ রিপুন বরাও একই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে দিল্লির বিজয় চকে সাইকেল চালিয়েছেন। বিজেপির তরুণ তুর্কি, বেঙ্গালুরুর সাংসদ তেজস্বী সূর্যও নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে সাইকেলে চেপে ঘুরছেন। তেজস্বীও কি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন? কংগ্রেসের কটাক্ষের জবাবে বিজেপি বলছে, তেজস্বী আসলে সাইকেলে চেপে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অলিম্পিকের খেলোয়াড়দের মতো শারীরিক ভাবে সুস্থসবল থাকার কথা প্রচার করছেন।
আরোহী: সাইকেলে সাংসদ তেজস্বী সূর্য।
অতিথি তোমার দ্বারে
ভিতরে তখন চলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-নিতিন গডকড়ীর বৈঠক। দিল্লির মতিলাল নেহরু মার্গের গডকড়ীর বাড়ির সামনে সংবাদমাধ্যমের ভিড়। পাশেই বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডার বাড়ি। ভিড় গিয়েছে তাঁর দরজা পর্যন্ত। জুলাইয়ের দিল্লির ভ্যাপসা গরমে যখন সাংবাদিককুল অতিষ্ঠ, তখন হঠাৎই লেবুর শরবত নিয়ে বেরিয়ে এলেন নড্ডার বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা। জল খেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও প্রশ্ন, সাংবাদিকরা যখন নড্ডার বাড়ির সামনে অপেক্ষা করেন, তখন কেন কিছু দেওয়া হয় না?
প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়,
অনমিত্র সেনগুপ্ত